Mumbai Gangrape: ২০১৩ শক্তিমিল গণধর্ষণ-কাণ্ডে তিন আসামীর সাজা মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হল। বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। ২২ অগাস্ট, ২০১৩ সালে মুম্বইয়ের পরিত্যক্ত শক্তিমিলে এক সাংবাদিককে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। তাঁর এক পুরুষ সহকর্মীর উপরে নির্যাতন চলেছিল। নির্ভয়া-কাণ্ডের পর এই ঘটনা ফের নাড়া দিয়েছিল নাগরিক সমাজকে। ২০১৪ সালে নিম্ন আদালত এই মামলায় তিন জনকে দোষী ঘোষণা করে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল। এর আগেও ধর্ষণে অভিযুক্ত ছিল এই তিন জন। তাই অপরাধ পুনরাবৃত্তি করার দায়ে তাঁদের কোনওরকম ছাড় দিতে নারাজ ছিল নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে মৃত্যুদণ্ড মকুবের আর্জি জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী। সেই শুনানিতে এদিন সাজা কমিয়ে যাবজীবন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা কিছুতেই অস্বীকার করতে পারি না অপরাধের গভীরতা গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ধর্ষণ এমন একটা অপরাধ, যা নিগৃহীতাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিধস্ত করে তোলে। নিগৃহীতার সম্মানকে কলুষিত করে। তবে সাংবিধানিক আদালত কখনও জনমতের ভিত্তিতে রায় দিতে পারে না। যাবজ্জীবন সাজা আর মৃত্যুদণ্ড ব্যতিক্রম। মৃত্যু একজনের অনুশোচনা করার ক্ষমতা কেড়ে নেয়। কোনওভাবেই এটা প্রতিষ্ঠা করা যায় না অপরাধীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড একমাত্র সাজা। সাড়া জীবন জেলে থেকে অপকর্মের জন্য অনুশোচনা করা অপরাধীদের একমাত্র সাজা।‘
এদিকে, পকসো আইনে শিশুদের সঙ্গে ওরাল সেক্স গুরুতর অপরাধ নয়। তাই অপরাধীর সাজার মেয়াদ ১০ বছর থেকে কমিয়ে ৭ বছর করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। শিশুর সঙ্গে ওরাল সেক্স করার অভিযোগে ঝাঁসির নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁকে ১০ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আঐপিল করেন দোষী ব্যক্তি।
মামলার শুনানিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি অনিল কুমার ওঝা বলেন, ‘দোষী ব্যক্তি শিশুর মুখে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করেছিল, বিষয়টি পকসো আইন মোতাবেক ধারা ৫-৬ অথবা ৯ (এম)-এর আওতাধীন নয়। শিশুর মুখের মধ্যে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানো গুরুতর অপরাধ নয়। এই অপরাদ পকসো আইনের ধানা ৪ এর মধ্যে পড়ছে। সাজাও সেইভাবেই হবে।’ উল্লেখ্য, পকসো আইনের ধারা ৫ ও ৬-য়ে গুরুতর অপরাধের সাজা বিচার হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন