গালওয়ানের সংঘর্ষের প্রায় দুই বছর অতিক্রান্ত। কিন্তু, ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ঘিরে সীমান্ত উত্তেজনা এখনও জারি। এই জন্য সরাসরি বেজিংয়ের মানসিকতাকে দায়ী করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চতুর্দেশীয় কোয়াড বৈঠকে বিদেশমন্ত্রীদের আলোচনায় ভারতের বিদেশমন্ত্রীর দাবি, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বিরোধ অঞ্চলগুলিতে আর বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হবে না, লিখিত এই চু্ক্তিতে সাক্ষর করেছিল দুই দেশ। কিন্তু, সেই চুক্তিকে সম্মান করে না বেজিং। ফলে বাড়ছে উত্তজনা কমার বদলে বাড়ছে।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, 'হ্যাঁ, কোয়াডে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সদস্য দেশগুলির সঙ্গে প্রতিবেশীদের কেমন সম্পর্ক তা জানাতেই এই আলোচনা। আর এই বিষয়ে একাধিক রাষ্ট্রের জানার উৎসাহ রয়েছে, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলির।'
তাঁর সংযোজন, 'যখন কোনও বৃহৎ দেশ লিখিত প্রতিশ্রুতি মানতে অস্বীকার করে তখন তা আন্তর্জাতিক মহলের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগের বলে বিবেচিত হয়।'
এদিকে কোয়াড রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের মধ্যেই আবারও ভারতীয় ভূখণ্ডে লাল-ফৌজ ঢুকে পড়ার খবরে শোরগোল পড়েছে। লাদাখের নয়োমার ব্লক ডেভেলপমেন্ট চেয়ারপার্সন Urgain Chodon দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'গত ২৮ জানুয়ারি চিনা সেনা আমাদের দিকে ঢুকে পড়েছিল। এদেশে ঢুকে পড়ে তারা আমাদের পশুর পাল তাড়া করে। তবে কাউকেই ওরা নিয়ে যায়নি।' শুক্রবার নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে ডগবুক নামে ওই এলাকার ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও টুইট করেছেন তিনি। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্রের মতে, 'ওই ভিডিওটি পুরনো বলে মনে হচ্ছে। এটি গরমকালে রেকর্ড করা হয়েছে। কারণ ওই ভিডিও-য় বরফ দেখা যায়নি।'
Read in English