কুস্তিগিরদের যৌন হয়রানি মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ শরণ সিং। তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। একইসঙ্গে মঞ্জুর করা হয়েছে ব্রিজভূষণের সচিব তথা এই মামলায় অপর অভিযুক্ত বিনোদ তোমরের জামিনের আবেদনও। মঙ্গলবার যৌন হয়রানি মামলায় ব্রিজভূষণ নয়াদিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতে হাজিরা দেন।
বেশ কয়েকজন মহিলা কুস্তিগিরকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে। এই মামলাতেই অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ব্রিজভূষণ শরণ সিং। রাউস এভিনিউ কোর্টের বিচারক হরজিৎ সিং জসপালের এজলাসে মঙ্গলবার উঠেছিল মামলাটি। সেখানেই ২৫,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ব্রিজভূষণ ও তোমরকে জামিন দিয়েছেন বিচারক জসপাল। আদালত জানিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ জুলাই।
এর আগে শুক্রবার সকালের দিকে আদালত দুই অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ ও তোমরকে তলব করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মোট ছ'জন মহিলা কুস্তিগির অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের আইনজীবী রাজীব মোহন জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, তাঁর মক্কেলদের বিনা গ্রেফতারেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁদের জামিন দেওয়া উচিত। এই মামলায় সরকারপক্ষের আইনজীবী অতুলকুমার শ্রীবাস্তব কুস্তিগিরদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘ইন্ডিয়া জিতবে, বিজেপি হারবে’, মোদীকে কড়া চ্যালেঞ্জ মমতার
তিনি জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে দাবি করেন, অভিযুক্তরা জামিন পেলে মামলা প্রভাবিত হতে পারে। এই মামলায় ব্রিজভূষণদের আইনজীবী রাজীব মোহন সমান্তরাল মিডিয়া ট্রায়ালের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। যার প্রেক্ষিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে শুনানি ক্যামেরাবন্দি করতে চাইলে মোহন যেন হাইকোর্টে আবেদন জানান। সেখান থেকে যেন এই ব্যাপারে নির্দেশ নিয়ে আসেন।
ব্রিজভূষণ শরণ সিং বিজেপির বাহুবলী সাংসদ। এই সাংসদের উত্তরপ্রদেশ বিজেপি তথা গেরুয়া শিবিরের ঘরোয়া রাজনীতিতে ভালোই প্রভাব আছে। এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগামী বছরের নির্বাচনের আগে ঠিক কতটা কঠোর হতে পারবেন মোদী-শাহ-নাড্ডারা? আদৌ পারবেন কি? সেই প্রশ্নই তুলছেন বিরোধী নেতৃত্ব। যদিও ব্রিজভূষণের অনুগামীদের দাবি, যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে। ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।