শেষবার কোনও বিদেশী রাষ্ট্র প্রধান ভারতে এসেছিলেন ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে। তার প্রায় ১৪ মাস পর আবার ভারতে পা রাখবেন কোনও দেশের রাষ্ট্র প্রধান। এপ্রিলের শেষে ভারত সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সে বার ‘কেমছো ট্রাম্প’ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে সপরিবারে হাজির হয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপর ভারত মহাসাগর দিয়ে অনেক স্রোত বয়ে গিয়েছে। করোনা কাঁটায় বিদ্ধ হয়েছে বিশ্ব। মহামারি লকডাউন, মৃত্যু মিছিল, আনলক পর্ব, টিকাকরণ। এসবের পালা পেরিয়ে আরও একটা বছর। আর নতুন বছরে করোনা আবহেই প্রথম বিদেশী রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে ভারত সফরে জনসনের পা রাখার সম্ভাবনা।
জানা গিয়েছে, চলতি বছর ২৬ জানুয়ারিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার। কিন্তু ব্রিটেনে করোনা পরিস্থিতি বিশেষ করে ব্রিটেন স্ট্রেনের কারণে শেষমেশ এই সফর বাতিল করতে হয়েছিল বরিসকে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এবার বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ভারতে আসতে পারেন জনসন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর এই প্রথম ভারত সফরে আসতে চলেছেন বরিস। ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্যই এই সফর বলে দাবি ওই সূত্রের।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের দিকে নজর রেখেই বরিসের এই সফর। এই অঞ্চলটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ভৌগোলিক, বাণিজ্যিক এবং প্রতিরক্ষার দিক থেকে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিন যাতে তাদের প্রভাব বাড়াতে না পারে, ইতিমধ্যেই আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশ ওই অঞ্চলের উপর নজরদারি শুরু করেছে।
ব্রিটিশ প্রশাসন সূত্রে খবর, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কথা মাথায় রেখে আগামী দিনে ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে নজর দেওয়ার কথা ভাবছে বরিস সরকার। বিষয়টি নিয়ে ‘আসিয়ান’ দেশগুলোর সঙ্গেও কথা চালানো হচ্ছে বলে ব্রিটিশ প্রশাসন জানিয়েছে।