নিজেদের দেউলিয়া বলে ঘোষণা করল বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ভ্রমণ সংস্থা থমাস কুক। ঋণের ভারে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই ধুঁকছিল এই সংস্থাটি। শেষ পর্যন্ত আর তা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল না। এমননকি নিজেদের বিমান সংস্থাটিকেও বন্ধ করে দিয়েছে থমাস কুক। এর ফলে বিপাকে বিশ্বজুড়ে কয়েক লক্ষ্য পর্যটক।
থমাস কুকের শীর্ষ আধিকারিক পিটার ফাঙ্কহাউজারের দাবি, "সত্যিই খুবই দুঃখের দিন। এটা আমার কাছে গভীর অনুতাপের বিষয় যে আমি এবং অন্যান্য বোর্ড সদস্যরা সফল হলাম না সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।" দীর্ঘ দিন ধরেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল সংস্থায়। কিন্তু, সোমবারের ঘোষণায় সংস্থার হাজার কর্মীর মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। কর্মহীন হতে চলেছেন প্রায় ২২ হাজার কর্মী। এর মধ্যে ৯ হাজার জন ব্রিটেনের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: তিহার জেলে গিয়ে চিদাম্বরমের সঙ্গে সাক্ষাৎ সোনিয়া, মনমোহনের
টমাস কুকের ভ্রমণ ব্যবসা বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। ব্রেক্সিটের পর থেকে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল সংস্থাটি। তার জেরে ধাক্কা খায় গ্রীষ্মকালীন ছুটির বুকিংও। গত মে মাসের পরিসংখ্যানেই এই তথ্য জানা যায়। কম খরচে মধ্যবিত্তকে বিশ্ব ঘোরানোই ছিল এই সংস্থার মূল দিশা।
আরও পড়ুন: এনআরসি আতঙ্কে বাংলায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
সংস্থার পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রয়োজন ছিল প্রায় আড়াই কোটি মার্কিন ডলারের। ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে সতেরশো কোটি টাকা। সংস্থাকে বাঁচাতে ব্যক্তিগত পুঁজিপতিদের বিনিয়োগেরও চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা শেষমেশ তা বাস্তবায়িত হয়নি।
১৮৪১ সালে পথ চলা শুরু করেছিল ওই সংস্থাটি। ১৭৮ বছরের পথ চলার শেষ ভয়ঙ্কর। শোকের আবহ পর্য়টকদের মধ্যে। কম খরচে ট্রেনে পর্যটকদের ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর ঘুরিয়ে দেখানো দিয়ে শুরু হয়েছিল টমাস কুকের অভিযান। কম খরচে মধ্যবিত্তের বিশ্ব ঘোরার শখ মেটানোই ছিল সংস্থাটির মূল দিশা। তবে, যেসব পর্যটক বিমাকে পড়েছেন তারা ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছেন।
Read the full story in English