করোনা আবহে বিশ্বের সমস্ত সীমান্ত বন্ধ। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রুখতে বন্ধ হয়েছে ভারত-পাক সীমান্তও। কিন্তু এখন সেই সময় যখন পাঞ্জাব সীমান্তে গম উৎপাদন করা হয়। সেই কথা চিন্তা করেই এবার বিশেষ পরিকল্পনা করা হচ্ছে দেশের বর্ডার গার্ড সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর তরফে। জানা গিয়েছে যে সকল কৃষকেরা চাষাবাদ করবেন সীমান্তে, তাঁদের জন্য সম্পূর্ণ সুরক্ষার ব্যবস্থা করবে বিএসএফ।
এমনকি বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের তরফে প্রতিটি ইউনিটকে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কৃষকদের সুরক্ষা প্রদানকারী জওয়ানদের জন্যও প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। জলন্ধরের ফ্রন্টেয়ার হেডকোয়াটার্সের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "আমরা এটাও নিশ্চিত করব যে সমস্ত জওয়ান যারা কৃষকদের সুরক্ষা দেবেন এবং ঘন্টার পর ঘন্টা কৃষিকাজ পর্যবেক্ষণ করবেন তাঁরা যেন সুরক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পান।"
আরও পড়ুন- পর্যায়ভিত্তিক রেল চালুর পরিকল্পনা
দেশকে সুরক্ষা দেওয়া যাদের কাজ, এবার তাঁদের সুরক্ষা দিতেই বদ্ধপরিকর হতে চলেছে দেশ। গম চাষের এই সময়ে সীমান্ত পেরিয়ে যারা যে সব জওয়ানেরা এই নজরদারি করবেন তাঁদের কাজের সময় বদলে দু'ঘন্টার শিফটে নিয়োগ করা হবে। গ্লাভস, মাস্ক এবং অন্যান্য সুরক্ষার জিনিষও দিয়ে দেওয়া হবে প্রত্যেককে, এমনটাই জানান হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভারত-পাক সীমান্তে সুরক্ষার বিষয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেনার এক আধিকারিক বলেন, "এই মুহুর্তে কৃষকেরা সীমান্তে অবস্থিত গমের ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করছে। তাই তাঁদের জন্য সবরকম প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছি। বিএসএফের পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলি সীমান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য ট্রিপল লেয়ার মাস্কও প্রস্তুত করছে।" প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সঙ্গে ৫৩৩ কিলোমিটার এলাকা ভাগ করে নিয়েছে পাঞ্জাব। পাঠানকোট, গুরুদাসপুর, অমৃতসর, ফিরোজপুর এবং ফাজিলকা সীমান্তবর্তী বিশাল জমিতে গম চাষ করেন কৃষকেরা। করোনা আবহে সেই ফলন অপরিবর্তিত রেখে সুরক্ষা বলয়ে মুড়েই উৎপাদন অক্ষুন্ন রাখতে চাইছে কেন্দ্র।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন