কিশোরী মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও অনলাইনে দেখে মাথার ঠিক রাখতে পারেননি বাবা। অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ করাই কাল হল। যুবকের পরিবার পিটিয়ে খুন করল বিএসএফ জওয়ানকে। গত ২৪ ডিসেম্বর মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের খেড়া জেলায়। ওই পরিবারের সাত জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছে।
এফআইআর অনুযায়ী, মেলাজি বাঘেলা নামে ৪৫ বছরের বিএসএফ জওয়ান মেহসানায় ৫৬ নম্বর ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল পদে কর্মরত। তাঁর স্ত্রী মঞ্জুলা এবং তাঁদের ছেলে নভদীপ বাঘেলা এবং আরেক আত্মীয় চিরাগ বাঘেলা শৈলেশ ওরফে সুনীল যাদবের বাড়িতে যান। ওই ২০ বছরের সুনীলই তাঁদের ১৫ বছরের মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে আপলোড করে দেয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, কিশোরী এবং সুনীল বন্ধু ছিল।
যখন মেলাজিরা শৈলেশের বাড়ি পৌঁছন ২৪ ডিসেম্বর রাত ১০টার সময়, যুবকের বাবা দীনেশ যাদব এবং বাকি পরিবারের সদস্যরা অরবিন্দ যাদব, চতুর্ভাই যাদব, শচীন যাদব এবং ভাবেশ যাদব বাড়ির বাইরে আগুন পোহাচ্ছিলেন। তাঁরে মেলাজিদের অশ্রাব্য ভাষায় কটূক্তি করেন। এর পর বাড়ির ভিতর থেকে দুই মহিলা বাইরে এসে তাঁরাও গালাগালি দিতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, শৈলেশকে অকারণে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে।
এর পর দীনেশ এবং বাকিরা মেলাজির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। শচীন একটি মোটা লাঠি দিয়ে মেলাজির স্ত্রীর উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। মহিলারাও তাঁদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান মেলাজি। তাঁর দুই ছেলেও অজ্ঞান হয়ে যায়। মঞ্জুলা তাঁর স্বামীর মোবাইল থেকে তাঁর পরিজনদের ডাকেন। এর পর অ্যাম্বুল্যান্সে করে নাদিয়াদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মেলাজি ও তাঁর দুই ছেলেকে। হাসপাতালে বিএসএফ জওয়ানকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এক ছেলে নভদীপকে আহমেদাবাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মেলাজির আরেক ছেলে প্রতীক বাঘেলার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর বাবা ১৫ দিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। আর এসেই আর কাজে ফিরলেন না তিনি। ধৃত সাতজনকে খুন, খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, দাঙ্গার মতো ধারায় মামলা করা হয়েছে। আদালত তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।