কাশ্মীরের আকাশে ফের সন্দেহভাজন পাক ড্রোনের হানা। বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু কাশ্মীরের আর্নিয়া সেক্টরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ড্রোনটি দেখা যায়। দেখা মাত্র ড্রোনটি লক্ষ্য করে গুলি জওয়ানদের। মুহূর্তের মধ্যে ফের সেটি পাকিস্তানের দিকে ঢুকে পড়ে।
আবারও উপত্যকায় পাক প্ররোচনা। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া আর্নিয়া এলাকাটি বরাবরই বেশ সংবেদনশীল। স্বাভাবিকভাবেই এই এলাকায় সেনা-পুলিশের বাড়তি নজর থাকে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে আর্নিয়া সেক্টরে সন্দেহভাজন পাকিস্তানি ড্রোন উড়তে দেখেন টহলরত জওয়ানরা। দেখা মাত্র সেই ড্রোনটি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করেন জওয়ানরা। মুহূর্তের মধ্যে সেটি ফিরে যায়। মাটি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার উচ্চতায় উড়ছিল ড্রোনটি।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই জম্মু শহরের কাছে কানাচক এলাকাতেও একটি পাকিস্তানি ড্রোন থেকে ফেলে যাওয়া তিনটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) উদ্ধার করেছে সেনা। সেই ড্রোনের সঙ্গে সংযুক্ত পেলোড নামিয়ে আনা হলেও ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো যায়নি। পেলোডটিতে তিনটি ম্যাগনেটিক আইইডি ছিল। একটি টিফিন বক্সের ভিতরে প্যাক করে রাখা টাইমার সহ ৩ ঘন্টা, ৮ ঘন্টা ইত্যাদির সময়ের জন্য টাইম সেট করা ছিল। আইইডিটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- খিচুড়ির পাতে কিলবিল করছে সাপের বাচ্চা, শিশুদের খাইয়ে আত্মারাম খাঁচা ছাড়ার জোগাড়!
আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হওয়া ৪৩ দিনের অমরনাথ যাত্রার ঠিক আগে এই বিস্ফোরক উদ্ধার ও ড্রোন ওড়ানোর ঘটনাগুলি একটি নতুন হুমকি হিসেবে দেখছে প্রশাসন। গত ২৯ মে কাঠুয়ার তাল্লি হরিয়া চক গ্রামে একটি পাকিস্তানি ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সেনা। সে প্রসঙ্গে পরে নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, বড়সড় নাশকতার ছক ভেস্তে দেওয়া হয়েছে। হীরানগরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ওই ঘটনাটি ঘটেছিল।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান থেকে মাদক, বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র এই ড্রোনের মাধ্যমে পাঠায় জঙ্গি সংগঠন ও মাদক পাচারকারীরা। ভারতীয় ভূখণ্ডে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি ও পাচারকারীদের উদ্দেশ্যেই সেগুলি পাঠানো হয়। তবে নিরাপত্তাবাহিনী সতর্ক থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নাশকতা ও মাদক পাচারের এই চক্রান্ত ভেস্তে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে জোড়া খুনে গ্রেফতার ২, গায়ে কাঁটা তোলার মতো তথ্যে তোলপাড়
গত মাসে পাঞ্জাবের অমৃতসরে হেরোইন নিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকা একটি পাক ড্রোনকে গুলি করে নমায় বিএসএফ। ওই ড্রোন থেকে ৯টি প্যাকেটে ১০ কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছিল। সীমান্তের ওপার থেকে চোরাচালানের উদ্দেশ্যেই এগুলি পাঠানো হয়েছিল। বিএসএফ-এর তরফে পাকিস্তানি রেঞ্জারদের কাছে এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদও জানানো হয়েছিল।