ফের জম্মুর আকাশে সন্দেহভাজন পাকিস্তানি ড্রোন। শনিবার ভোররাতে জম্মুর আরনিয়ায় সন্দেহভাজন ওই পাক ড্রোন উড়তে দেখা যায়। ড্রোনটিকে দেখেই গুলি ছুড়তে শুরু করেন বিএসএফ জওয়ানরা। সীমান্তের ওপার থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে বেশ কিছুক্ষণ উড়তে থাকে ড্রোনটি। ওই ড্রোন থেকে সীমান্তের এপারে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক বা মাদকদ্রব্য পাচার হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও বিএসএফ।
বিএসএফের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এদিন ভোর ৪.১০ মিনিট নাগাদ আর্নিয়ায় উড়তে দেখা যায় সন্দেহভাজন ওই ড্রোনটি। সেটিকে দেখেই গুলি চালায় সেনা। তিনি বলেন, ''এদিন ভোর ৪টা ১০ মিনিটে আর্নিয়ায় বিএসএফের জওয়ানরা ড্রোন ওড়ার শব্দ শুনতে পান। মুহূর্তে ওই ড্রোনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করেন জওয়ানরা।'' তিনি জানিয়েছেন, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গোটা এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় ড্রোন থেকে কিছু ফেলে যাওয়া হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিন ড্রোনটি লক্ষ্য করে বিএসএফ ১৮ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ৬ হাজারের নীচে দেশের দৈনিক সংক্রমণ, গতকালের চেয়ে বাড়ল মৃত্যু
উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় পাক ড্রোন উড়ে আসা নতুন ঘটনা নয়। প্রায়শই সীমান্তের ওপাডর থেকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি ড্রোনের মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক সীমান্তের এপারে তাদের সহযোগীদের কাছে পাঠায়। তবে সেনা সতর্ক থাকায় অধিকাংশ সময়েই জঙ্গিদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। দিন দশেক আগেই আরএস পুরা সেক্টরে লস্কর-এ-তইবার একটি ড্রোন অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে গিয়েছিল। সীমান্তের এপারে থাকা জঙ্গিদের জন্যই ওই বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র পাঠায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনটি। তবে সেনা সতর্ক থাকায় তাদের সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
আরএস পুরা সেক্টরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান থেকে উড়ে আসা ওই ড্রোন থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ৭০ রাউন্ড গুলি, একটি পিস্তল, তিনটি ডিটোনেটর, তিনটি রিমোট-নিয়ন্ত্রিত আইইডি, তিনটি বোতল বিস্ফোরক, কর্টেক্স তারের একটি বান্ডিল, দুটি-টাইমার আইইডি এবং ছ'টি গ্রেনেড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। গত এক বছরে নিরাপত্তা বাহিনী জম্মুতে দুটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে রাইফেল, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), স্টিকি বোমা এবং মাদকদ্রব্য।
Read story in English