বিএসএফের এয়ার উইং থেকে ইস্তফা দিলেন অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার জে এস সাঙ্গওয়ান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিমান ওড়ানোর জন্য ভুয়ো ই-মেল পাঠানোর অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল। জানা গিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডারের ইস্তফা এখনও পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি।
জে এস সাঙ্গওয়ানের ইস্তফা গ্রহণ করা হবে কিনা তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিএসএফ। তাই বলা হয়েছে সাঙ্গওয়ারের আবাদেন আপাতত 'প্রক্রিয়াধীন'। সূত্রের খবর, এই ইস্তফা গ্রহণের অর্থ হল অভিযুক্ত সাঙ্গওয়ানকে তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে না। তাই ইস্তফাপত্র আদৌ গ্রহণ করা হয় কিনা সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে ইসলামাবাদে চিনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে বিতর্ক, কড়া জবাব ভারতের
গত ২৭ অগাস্ট ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস খবর জে এস সাঙ্গওয়ানের ইমেলকাণ্ড নিয়ে খবর করেছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিমান ওড়ানোর ইচ্ছে, তাই জন্য ভুয়ো ই-মেল পাঠানোর অভিযোগ উঠল কার্গিল যুদ্ধের অন্যতম নায়ক জে এস সাঙ্গওয়ানের বিরুদ্ধে! তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ এবং দিল্লি পুলিশ। অবসরপ্রাপ্ত উইং কম্যান্ডরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিমান ওড়ানোর জন্য ভুল তথ্য দিয়েছেন এবং অবাঞ্ছিত ই-মেল করেছেন।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় স্পেশাল ইকনমিক জোন, সবুজ সংকেত কেন্দ্রেরYf
চেন্নাই থেকে দিল্লি ও মুম্বই যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি বিমান ওড়াতে চেয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত উইং কম্যান্ডর জে এস সাঙ্গওয়ান। সেই জন্যেই তিনি ই-মেল করেন। কিন্তু বিএসএফ-এর দাবি, সেই ই-মেলে ভুয়ো তথ্য দিয়েছেন কার্গিল নায়ক। উল্লেখ করেছেন তিনি নাকি পাইলট-ইন-কম্যান্ড। কিন্তু আদতে তিনি কো-পাইলটও নন বলে জানিয়েছে বিএসএফ। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিমান ওড়ানোর দায়িত্বে থাকে বিএসএফ-ই।
জে এস সাঙ্গওয়ানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত চালাচ্ছে বিএসএফ। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন কার্গিল যুদ্ধের নায়ক সাঙ্গওয়ান। তাঁর সাফ কথা, তিনি বায়ুসেনায় মিগ বিমান চালাতেন, সুতরাং বিমান চালাতে চেয়ে তিনি কোনও ভুল করেননি। উল্টে তাঁর দাবি, তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিমান ওড়ানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
Read the full story in English