বেকারত্বের বাড়াবাড়ি রুখতে দেশের লাইফ লাইন ভারতীয় রেলকে বাজেটে হাতিয়ার করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। মঙ্গলবার পেশ করা বাজেট বক্তৃতায় তিনি আগামী তিন বছরের মধ্যে নতুন প্রজন্মের ৪০০টি বন্দে ভারত ট্রেনের ঘোষণা করেন। এই ট্রেনগুলি বর্তমান ট্রেনের থেকে অনেক বেশি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মাণ করা হবে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ট্রেন৷ ২০১৯ সালে প্রথম পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছিল এই হাইস্পিড ট্রেন৷ ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে বারাণসী এবং দিল্লির মধ্যে প্রথমবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়েছিল৷ চেন্নাইয়ের আইসিএফ কারখানায় তৈরি হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের 'মেক ইন ইন্ডিয়া' প্রকল্পে এই ট্রেন সম্পূর্ণ ভাবে ভারতে তৈরি করা হয়৷
এই মুহূর্তে বারাণসী দিল্লি এবং দিল্লি ও জম্মুর কাটরা পর্যন্ত দু'টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে৷ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যে প্রস্তাবিত রুটগুলি রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে হাওড়া-রাঁচি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও৷ এর আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আরও ৭৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে সেই লক্ষ্যমাত্রাই আরও বাড়ানো হল৷
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছাড়াও আগামী তিন বছরে গড়ে তোলা হবে ১০০টি প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি কার্গো টার্মিনালও। মেট্রো সিস্টেম নির্মাণে ব্যবহার করা হবে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি। এমনটাই জানিয়েছেন সীতারমন। তিনি জানান, কৃষক এবং এমএসএমই-র জন্য নতুন পণ্য গড়ে তুলবে ভারতীয় রেলওয়ে। স্থানীয় ব্যবসা এবং সাপ্লাই চেনকে সাহায্য করতে থাকবে ‘এক স্টেশন এক প্রোডাক্ট’ নীতি। পাশাপাশি, রেলে পিপিপি মডেলেও জোর দেওয়া হবে। জোর দেওয়া হবে পোস্টাল রেল বা পার্সেল পরিবহণে।
আরও পড়ুন ‘মধ্যবিত্তের প্রাপ্য শূন্য, পেগাসাস থেকে নজর ঘোরানো বাজেট’, তোপ মমতার
বাজেটে রেল সংক্রান্ত এই এই সব ঘোষণার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবশ্যই পিএম গতিশক্তির ছাতার তলায় থাকা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যা রেলপথ ধরে জুড়বে দেশের এক থেকে অন্য প্রান্তকে। ট্রেনের বগিগুলো হবে অ্যালুমিনিয়ামের। ইস্পাতের কোচের ট্রেনের চেয়ে যার ওজন অন্ততপক্ষে ৫০ টন কম হওয়ায় ট্রেনের গতি থাকবে বেশি। ট্রেন চালাতে শক্তিক্ষয়ও কম হবে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হবে ভারতীয় রেল।