এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট দেশের কৃষিক্ষেত্রকে নয়া দিশা দেখাবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, এই বাজেটের সুফল মিলবে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চগুলিতেও। নতুন আর্থিক বছরের প্রথম দিন থেকেই যাতে কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রস্তাবগুলি নিয়ে পদক্ষেপ করা যেতে পারে সেব্যাপারে ব্যবস্থা নিতেও প্রশাসনিক কর্তাদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার কৃষি খাতে কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-এর "ইতিবাচক প্রভাব" সম্পর্কে একটি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমাদের হাতে মার্চ মাসের পুরো এক মাসের সময় রয়েছে। এরই মধ্যে সংসদে বাজেট পেশ করা হয়েছে। মার্চ মাসে সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করা উচিত। এপ্রিল থেকে কৃষকদের কাছে স্কিমগুলি পৌঁছে দেওয়া উচিত। যাতে জুন এবং জুলাইয়ের আশেপাশে নতুন কৃষি বছর শুরুর আগেই কৃষকরা তার সুফল পান।''
আরও পড়ুন- দিল্লিতে টিকাকরণের ধীর গতি জারি, অভিভাবকদের দায়ী করছে প্রশাসন
এরই পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এদিন কর্পোরেট বিশ্ব, আর্থিক বিশ্ব, স্টার্ট-আপ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্বকে এক সুতোয় বাঁধতে প্রশাসনিক কর্তাদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ''মাত্র ৬ বছরে কৃষি বাজেট বহুগুণ বেড়েছে। সাত বছরে কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণও আড়াই গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত সাত বছরে অনেক নতুন সিস্টেম তৈরি করেছি। বীজের বণ্টন থেকে শুরু করে বাজার, পুরানো সব সিস্টেম উন্নত হয়েছে।'' প্রধানমন্ত্রীর মুখে পিএম-কিষাণ প্রকল্পেরও এদিন প্রশংসা শোনা গিয়েছে।
এদিন মোদী বলেন, ''আজ এই প্রকল্পটি দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য একটি বড় ভরসা হয়ে উঠেছে। একটি ক্লিকে ১০-১২ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো প্রতিটি ভারতীয়ের জন্যই গর্বের বিষয়।" প্রধানমন্ত্রী এদিন জানান, দেশের ১১ কোটি কৃষককে প্রায় এই প্রকল্পের আওতায় ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা সাহায্য করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি মোদী এদিন প্রশাসনিক কর্তাদের কৃষি পণ্য আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতেও বলেছেন। তিনি বলেন, ''ভারত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। প্রয়োজন মেটাতে সমস্ত কৃষিপণ্য উৎপাদন করা উচিত।''
Read story in English