গাজিপুর, টিকরি, সিঙ্ঘু সীমানা যেন যুদ্ধক্ষেত্র। রাস্তা জুড়ে থরে থরে সাজানো কংক্রিটের ব্যারিকেড। ৩-৪ স্তরে কাঁটাতারের বেড়া। তার ঠিক পিছনেই আবার কংক্রিটের ব্যরিকেডের মাঝে ঢালাইয়ের কাজ চলছে। প্রতিটি ব্যারিকেডের ঠিক পরে রাস্তায় পুঁতে রাখা হয়েছে সার সার গজাল আর পেরেক। তিন-চার স্তরীয় ব্যারিকেডের পিছনে আড়াআড়ি ভাবে দাঁড় করানো পুলিশের গাড়ি, বাস। কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
মঙ্গলবার টুইটবার্তায়রাহুল গান্ধীর বার্তা, 'ভারত সরকার, সেতু তৈরি করুন, দেওয়াল নয়।' টুইটে গাজিপুর, টিকরি, সিঙ্ঘু সীমানার ছবিও জুড়ে দিয়েছেন ওনাড়ের সাংসদ।
এর আগে সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে অশান্তি ও লালকেল্লা কাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ‘উদ্দেশ্য’ নিয়ে গতকাল একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর প্রশ্ন ছিল, কেন ঐতিহ্যের লালকেল্লায় ওভাবে বিক্ষোভকারীদের ঢুকতে দেওয়া হল? পাশাপাশি কেন্দ্রকে বার্তা দিয়েছিলেন, 'কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত সীমানা থেকে এক ইঞ্চিও নড়বেন না কৃষকরা। আমার তো চিন্তা হচ্ছে, এই বিক্ষোভ না গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা চাই না, এই বিক্ষোভ দেশের অন্য প্রান্তেও ছড়াক। এই পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান হল, কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত তিনটি কৃষি আইন বাতিল করে তা ডাস্টবিনে ফেলে দিন।' এরপর এক টুইটেও সরকারকে তোপ দাগেন তিনি। বলে দেন,”গাজিপুরে পুলিশ মোতায়েন করে, সিঙ্ঘুতে পাথর ফেলে বা অন্য কোনও ষড়যন্ত্র করে কৃষকদের সরাতে পারবেন না। গোটা দেশ ওদের পাশে আছে, ওদের ভয় দেখানো যাবে না'
দিল্লি পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থেই ব্যারিকেড তৈরির করার মতো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। কেন্দ্র আজ রাত পর্যন্ত কৃষকদের বিক্ষোভস্থল অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিবাদে কৃষক সংগঠনগুলো ৬ই ফেব্রুয়ারি জাতীয় সড়কে তিন ঘন্টার 'চাক্কা জ্যাম' কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন