জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন আপনি পার্টির সভাপতি আলতাফ বুখারির। ''জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ এখন তাঁদের নিজস্ব সরকার এবং তাঁদের পরিচয় পুনরুদ্ধার করতে চান''। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উপত্যকার রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন বুখারি।
শ্রীনগরের জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বুখারি বলেন, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই (অমিত শাহ) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অনুগ্রহ করে ৫ আগস্ট, ২০১৯-এর আগের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ফিরিয়ে দিন।'' জম্মু কাশ্মীরের ভাগ্য ভারতের সঙ্গেই সম্পৃক্ত রয়েছে বলে মনে করেন বুখারি। তাঁর কথায়, “১৯৪৭ সালে, জম্মু কাশ্মীর ডিসপেনশন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারপর থেকে আমাদের ভবিষ্যত ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত। তাঁরা আমাদের দুঃখও দিয়েছে কিন্তু এই সমস্যার সমাধানও ভারত থেকেই আসবে।”
মতানৈক্যের জেরে পিডিপি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন কয়েকজন। আলতাফ বুখারি-সহ পিডিপি ছেড়ে বেরিয়ে আসা কয়েকজন মিলে ২০২০ সালের মার্চে তৈরি করেন আপনি পার্টি। উপত্যকায় ধারা ৩৭০ বিলোপের পর থেকে রাজনৈতিক উত্তেজনা এখনও কমবেশি জারি রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা ভূস্বর্গে ধারা ৩৭০ পুনরায় কার্যকর করার ব্যাপারে জনমানসে ভরসা দিয়ে চলেছেন।
আরও পড়ুন- সাদা কুর্তা-ফেজ টুপিতে রামায়ণ-মহাভারতের পাঠ, সংস্কৃত শিক্ষার পীঠস্থান এই ইসলামিক প্রতিষ্ঠান
তবে বুখারি মনে করেন কাশ্মীরবাসীর এমন নেতাদের কথায় ভরসা রাখা উচিত নয়। তাঁর কথায়, “আমি ধারা ৩৭০ এবং ৩৫-এ এর সঙ্গে থাকা অনুভূতি বুঝতে পারি। একমাত্র সুপ্রিম কোর্টই এগুলো ফিরিয়ে দিতে পারে। আমরা সেরা আইনজীবী নিয়োগ করব এবং শীর্ষ আদালতে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব। এটা নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করা যাবে না।”
শান্তি ও উন্নয়নই উপত্যকার স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে বলে মনে করেন আলতাফ বুখারি। শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের মাধ্যমে গোটা জম্মু কাশ্মীরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিতে চেয়েছেন এি রাজনীতিবিদ। কাশ্মীর এবং জম্মুর মধ্যে বৈষম্য না করে এবং উপত্যকা থেকে নির্বাসিত পণ্ডিতদের ফিরে আনার মাধ্যমেই প্রকৃত শান্তি ফিরবে বলে মনে করেন বুখারি।
অন্যদিকে, বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে বহু কাশ্মীরি যুবক গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁদের উপত্যকার বিভিন্ন কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। এই কাশ্মীরি যুবকদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বুখারি বলেন, “আমরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জম্মু ও কাশ্মীর এবং বাইরের কারাগার পরিদর্শন করার জন্য একটি দল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা তাঁদের মুক্তি ও নতুন জীবনে ফিরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব।”