বুলন্দশহরে পুলিশ হত্যার ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও অধরা মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজ। বুধবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অবশ্য চারজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। চার মুসলিম ব্যক্তি। তবে, পুলিশ হত্যার জন্য নয়, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে গোহত্যার দায়ে। উত্তরপ্রদেশ গোহত্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই চার ব্যক্তিকে।
গোহত্যার অভিযোগ করেছিলেন বজরঙ্গ দলের সদস্য যোগেশ রাজ। পুলিশ-সহ এক সাধারণ ব্যক্তি হত্যায় কিন্তু প্রথমেই উঠে আসছে যোগেশ রাজেরই নাম। বর্তমানে পলাতক যোগেশ।
পিটিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার লখনউ তে মুখ্যসচিব, ডিজিপি-র সঙ্গে বৈঠক করেন আদিত্যনাথ। বৈঠক শেষে যোগী বলেন, “গোরুকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।” এর পরেই যোগীর নির্দেশ, গোহত্যাকারী সবাইকে যেন গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন, বুলন্দশহর মনে করাচ্ছে গার্ডেনরিচকে
গোহত্যা ঘিরে বুলন্দশহরে অশান্তি এবং পুলিশ ইনস্পেকটরের মৃত্যুর পর দু’দিন কেটে যাওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী কেন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনীতি মহলে। মৃতের বোন মনীষা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমার দাদা গোহত্যার তদন্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিল। এই সরকার দিনরাত ‘গো রক্ষা’, ‘গো রক্ষা’ করে চেঁচায়, অথচ একজন পুলিশ মারা গেলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে এলেন না একবারও”। ঘটনার পেছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে, বলে মনে করছেন বোন মনীষা।
গোহত্যার অভিযোগে দায়ের করা এফআইআর তালিকায় সাতজন মুসলিম ব্যক্তির নাম ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সারফুদ্দিন এবং সাজিদকে গ্রেফতার করা হয় প্রথমে। পরে আসিফ এবং নানহেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজনৈতিক মহল থেকে নানা সমালোচনা হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, বৃহস্পতিবার নিহত পুলিশ ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিং-এর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
ইতিমধ্যে বুলন্দশহর হিংসার ঘটনায় ১১ এবং ১২ বছরের দুই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। দুজনকে বুলন্দশহরের শিয়ানা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
Read the full story in English