উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে হিংসার ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই মনে করছেন যোগী আদিত্যনাথ। বুলন্দশহরের ঘটনার পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার রাতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে গোহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন যোগী। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই মনে করছেন আদিত্যনাথ। এ ষড়যন্ত্রের পিছনে যাঁদের হাত রয়েছে তাঁদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন যোগী। এদিন বৈঠকে তিনি বলেছেন যে, যাঁরা গোহত্যার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।
অন্যদিকে, বুলন্দশহরে হিংসার ঘটনায় নিহত সুমিতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গোহত্যার গুজবে হিংসা ছড়ায় উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। যে ঘটনায় এক পুলিশ আধিকারিক-সহ দু’ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন, বুলন্দশহরে পুলিশ মৃত্যুতে বজরঙ্গ দলের হাত নেই: বিজেপি বিধায়ক
এদিকে, এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে আরও ৪ জনকে। বুলন্দশহরে হিংসার ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্ত দলও গঠন করা হয়েছে। বুলন্দশহরে হিংসাকাণ্ডে ১৭টি ধারায় অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে হিংসা ছাড়াও সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগও আনা হয়েছে। এফআইআরে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতপরিচয়ের নামও রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বুলন্দশহরের ঘটনার পিছনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল ও আরএসএসের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করে বিতর্ক বাঁধান সে রাজ্যের বিজেপি মন্ত্রী ওপি রাজভর। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও ওই মন্ত্রীর এহেন দাবি নস্যাৎ করেছেন দলেরই বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং। তিনি দাবি করেছেন যে, এ ঘটনার পিছনে বজরং দলের হাত নেই। পুলিশের গুলিতেই পুলিশ আধিকারিক সুবোধকুমার সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।