৩ ডিসেম্বরের বুলন্দশহর হিংসা ও লুঠপাটের ঘটনায় সাত অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁদের জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হল। সঙ্গে ছিল ভারত মাতা কি জয় ও বন্দে মাতরম শ্লোগানও। শনিবার সন্ধেয় এদের জেল থেকে ছাড়া হয়।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে মূল অভিযুক্ত শিখর আগরওয়াল ও জিতু ফৌজির গলায় মালা পরিয়ে তাঁদের ঘিরে হর্ষধ্বনি দেওয়া হচ্ছে, জনতা তাঁদের ছবি তুলছে, অত্যুৎসাহীরা সেলফি তুলছে।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সিয়ানার মহাও গ্রামের বাইরের মাঠে গবাদি পশুর হাড়গোড় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ নিয়ে গোহত্যার অভিযোগ তুলে স্থানীয় চিংরাবতী পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায় জনতা। এই হিংসায় নিহত হন পুলিশ ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিং ও সুমিত কুমার নামের এক সাধারণ যুবক।
দুটি পৃথক এফআইআর দায়ের করা হয় এ ঘটনায়, হিংসার ঘটনায় ২৭ জনের নামোল্লেখ সহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে, অন্যটি গোহত্যার জন্য। দুটি এফআইআর-ই দায়ের হয় সিয়ানা থানায়।
বিশেষ তদন্তদলের প্রধান রাঘবেন্দ্র কুমার মিশ্র বলেছেন, যে সাতজন জামিন পেয়েছে, তারা লুঠতরাজের ঘটনায় অভিযুক্ত, খুনের ঘটনায় নয়। তিনি জানিয়েছেন খুনের ঘটনায় অভিযু্ক্ত ৬ জন জেলেই রয়েছে।
হিংসার অভিযোগে মোট ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় বিজেপি ও বজরং দলের নেতারা রয়েছে। মামলার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তদল গঠিত হয়। তারা ঘটনার প্রায় তিন মাস পর গত ২ মার্চ মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
মূল অভিযু্ক্তদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা হাঙ্গামার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রশান্ত নট্ট ও অন্য চারজনের বিরুদ্ধে সুবোধকুমার সিং হচ্যার অভিযোগ আনা হয়। চার্জশিটে বলা হয়েছে, প্রশান্ত কুঠার নিয়ে সুবোধ কুমারের উপর হামলা করে। এর পর সুবোধ কুমারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলভার দিয়ে তাঁর উপর গুলি চালায় সে।
বিশেষ তদন্তদল বলেছে, বজরং দলের কর্মীরা গ্রামের লোকজনকে নিয়ে সিয়ানা থানার বাইরে অবরোধ করে রাখে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, "সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য জনতা দায়ী। হিংসার ঘটনা ঘটানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা সমস্যা তৈরি করার উদ্দেশ্যে। পুলিশের বিরুদ্ধে আপত্তিকর স্লোগান তোলা হয়েছে।"
Read the Full Story in English