Advertisment

বুলন্দশহরে গোহত্যা নিয়ন্ত্রণে না আনায় নিশানা হয়েছেন নিহত পুলিশ: বিজেপি সাংসদ

এর আগেও বৃহস্পতিবার বুলন্দশহরের বিজেপি সাংসদ ভোলা রাম বলেছিলেন বজরঙ্গ দল সদস্য যোগেশরাজ সিং নাকি খুবই ভালো কাজ করছেন, সমাজের চোখ খুলে দেয়, এমন কাজ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বুলন্দশহর হিংসায় পুলিশ হত্যায় মূল অভিযুক্ত যোগেশরাজ সিং-এর সমর্থনে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন বিজেপি সাংসদ। দিন কয়েক কাটতে না কাটতেই আরেক বিজেপি সাংসদ হিংসার জন্য দায়ী করলেন নিহত পুলিশকেই। রবিবার মিরাটের সাংসদ রাজেন্দ্র আগরওয়াল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানালেন, "নিজের অঞ্চলে গোহত্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি বলেই হয়তো নিশানা হতে হয়েছিল নিহত পুলিশ ইনস্পেক্টরকে।

Advertisment

আগরওয়াল বলেন, "৩ ডিসেম্বর বুলন্দশহরে যে পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটে, তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। কিন্তু হিংসার আগেই গো পাচার নিয়ে শিয়ানা থানায় যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তা নিয়ে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ করল না, সে বিষয়েও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে"।

বিজেপি সাংসদ আরও বলেছেন, "গোহত্যাকে যখন গুরুতর অপরাধ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন, তখন এই সমস্যাকে সমূলে উৎপাটিত করতে হলে আঞ্চলিক থানার স্তর থেকে লক্ষ রাখতে হবে"।

আরও পড়ুন, বুলন্দশহরের ঘটনায় বদলি আরও এক পুলিশ আধিকারিক

এর আগেও বৃহস্পতিবার বুলন্দশহরের বিজেপি সাংসদ ভোলা রাম বলেছিলেন বজরঙ্গ দল সদস্য যোগেশরাজ সিং নাকি খুবই ভালো কাজ করছেন, সমাজের চোখ খুলে দেয়, এমন কাজ।  সেই সুর ধরেই সাংসদ রাজেন্দ্র আগরওয়াল বলেন, যোগী আদিত্যনাথের 'স্বপ্নের পথে বাধা' হয়ে দাঁড়াচ্ছে কিছু আধিকারিক। প্রাক্তন আরএসএস প্রচারক জানিয়েছেন তিনি গো পাচার এবং গোহত্যা নিয়ে একাধিকবার কিঠর এবং ভবানপুর থানায় অভিযোগ জানালেও কেউ তেমন কান দেননি। "আমি বলছি না সব আধিকারিক দুর্নীতিগ্রস্ত, কিন্তু নিজেদের আর্থিক এবং রাজনৈতিক আদর্শ চরিতার্থ করার জন্য অনেকেই বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে", জানিয়েছেন রাজেন্দ্র আগরয়াল।

এই প্রসঙ্গে ভবানপুর থানার দায়িত্বে থাকা ধর্মেন্দ্র সিং রাঠোর জানিয়েছেন, "আমার এলাকায় সম্প্রতি গো পাচারের কোনো খবর নেই। সাংসদ হওয়ার সুবাদে যে কেউ মন্তব্য করে দেন। উনি যদি আমাদের নির্দিষ্ট কোনো আদেশ দেন, আমরা তা পালন করতে বাধ্য"।

Read the full story in English

Bulandshahr
Advertisment