বুলন্দশহরে হিংসার ঘটনায় নাম জড়াল ভারতীয় সেনার। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল এক সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে। শনিবার অবশেষে সেই সেনা জওয়ানকে আটক করল পুলিশ। এদিন জম্মু-কাশ্মীরের সোপোর শহর থেকে জিতেন্দ্র মালিক ওরফে জিতু ফৌজিকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জিতুকে নিজেদের হেফাজতে নেবে উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট)।
ইন্সপেক্টর খুনে এফআইআরে নাম ছিল ওই সেনা জওয়ানের। জিতেন্দ্র মালিক নামে ওই জওয়ান বুলন্দশহরে হিংসার ঘটনায় জড়িত ছিল বলে প্রথম থেকেই সন্দেহ করেছিল পুলিশ। পরে জিতেন্দ্র পালিয়ে গিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল। ইন্সপেক্টর খুনে জিতেন্দ্র মালিক ওরফে জিতু ফৌজিকে হিংসার ঘটনার ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যে ভিডিওটি ঘুরছে সোশাল দুনিয়ায়। ওই ভিডিওতে জিতুকে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে। যদিও জিতুর মা রতন কউর পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে, তাঁর ছেলে এ ঘটনায় জড়িত নন।
আরও পড়ুন, বুলন্দশহরের ঘটনায় দুই পুলিশ আধিকারিককে বদলি
মঙ্গলবার জিতুর মা রতন কউর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান যে, তাঁর ছেলে জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত। তিনি এও জানিয়েছেন যে, সোমবার সিয়ানায় জমায়েত দেখে সেখানে গিয়েছিলেন জিতু।
গোহত্যার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংকে খুনের অভিযোগে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, বুলন্দশহরে হিংসার ঘটনায় দুই পুলিশ আধিকারিককে বদলি করা হল শনিবার। যাঁর মধ্যে রয়েছেন এক ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক।
এদিকে, বুলন্দশহরে পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু একটা দুর্ঘটনা মাত্র, গণপিটুনি নয় বলে দাবি করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেছেন, “উত্তর প্রদেশে কোনও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেনি। বুলন্দশহরের ঘটনাটা দুর্ঘটনা মাত্র। আইন তার পথেই এগোচ্ছে। কোনও অপরাধীকে রেয়াত করা হবে না। গো-হত্যাই শুধু নয়, কোনওরকম বেআইনি পশু হত্যাও নিষিদ্ধ গোটা রাজ্যে। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে জবাব দিতে হবে এজন্য।”
Read the full story in English