অবশেষে টনক নড়ল প্রশাসনের। বুলন্দশহরে হিংসার ঘটনায় দুই পুলিশ আধিকারিককে বদলি করা হল শনিবার। যাঁর মধ্যে রয়েছেন এক ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। উল্লেখ্য, গতকালই এ ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে পেশ করেন এডিজি এসবি শিরোদকর। তারপরই ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে বদলি করা হল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিয়ানা সার্কেল অফিসার ডিএসপি সত্যপ্রকাশ শর্মাকে মোরাদাবাদের পুলিশ ট্রেনিং কলেজে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে, চিংড়াবতী থানার স্টেশন ইন-চার্জ সুরেশ কুমারকে বদলি করা হয়েছে ললিতপুরে। ইতিমধ্যেই, সীতাপুর থেকে বুলন্দশহরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশ সুপার প্রভাকর চৌধুরিকে।
আরও পড়ুন, ‘গণপিটুনি নয়, বুলন্দশহরের ঘটনা দুর্ঘটনা মাত্র’
“কোনও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেনি, এটা দুর্ঘটনা মাত্র,” এমন চাঞ্চল্যকর দাবিই করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুক্রবার এ ঘটনা প্রসঙ্গে যোগী বলেছেন, “উত্তর প্রদেশে কোনও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেনি। বুলন্দশহরের ঘটনাটা দুর্ঘটনা মাত্র। আইন তার পথেই এগোচ্ছে। কোনও অপরাধীকে রেয়াত করা হবে না। গো-হত্যাই শুধু নয়, কোনওরকম বেআইনি পশু হত্যাও নিষিদ্ধ গোটা রাজ্যে। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে জবাব দিতে হবে এজন্য।”
এদিকে, গোহত্যার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংকে খুনের অভিযোগে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বুলন্দশহরে হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ভারতীয় সেনার। ইন্সপেক্টর খুনে এফআইআরে নাম রয়েছে এক সেনা জওয়ানের। জিতেন্দ্র মালিক নামে ওই জওয়ান বুলন্দশহরে হিংসার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। পরে জিতেন্দ্র পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ইন্সপেক্টর খুনে জিতেন্দ্র মালিক ওরফে জিতু ফৌজিকে হিংসার ঘটনার ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যে ভিডিওটি ঘুরছে সোশাল দুনিয়ায়। ওই ভিডিওতে জিতুকে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে। যদিও জিতুর মা রতন কউর পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে, তাঁর ছেলে এ ঘটনায় জড়িত নন।
Read the full story in English