অন্তর্দেশীয় বিমান যাত্রী সংখ্যা দিপাবলীর মধ্যেই অনেকটা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। এমনটাই আশা করেন অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। মুম্বই থেকে আপাতত দেশের বিভিন্নপ্রান্তে নিয়ন্ত্রিতভাবে উড়ান ওঠা-নামা করছে। অগাস্ট পর্যন্ত কলকাতা থেকে নির্দিষ্ট বেশ করেয়কটি জায়গায় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এসব বাধা দূর হয়ে গেলেই বিমান যাত্রী সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেছেন যে, 'প্রাক কোভিড পরিস্থির ৩৩ শতাংশ যাত্রী পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে। অন্তর্দেশীয় উড়ানে প্রতি সপ্তাহের পাঁচ হাজার করে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। মুম্বইয়ে করোনা সংক্রমণ কমলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখান থেকে বিমান পরিষেবা চালু হবে। কলকাতা থেকেও তা আশা করা যায়। দ্রুত আমরা প্রাক কোভিড পরিস্থির পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী সংখ্যা পুনরুদ্ধার করতে পারবো।' মন্ত্রীর আশা দিপাবলীর মধ্যে বিমান পরিষেবায় অন্তর্দেশীয় যাত্রীদের বড় অংশকে ফিরে পাওয়া সম্ভব।
উল্লেখ্য, মম্বই থেকে বর্তমানে প্রত্যেক দিন ১০০ বিমান ওটানামা করে। কলকাতা থেকে দিল্লি, মুম্বই পুনে, নাগপুর, চেন্নাই ও আমেদাবাদের বিমান পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ। চলত মাস পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন হরদীপ সিং পুরী। তাঁর কথায়, 'ভারত থেকে অন্যন্য দেশে যাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দেবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না, তবে আমরা এগিয়ে গিয়েছি এবং খুব জটিল পরিস্থিতি থেকে বেরোতে পরেছি। বর্তমানে বিমান পরিষেবায় ভারতের সঙ্গে আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির সমঝোতা রয়েছে। আরও ১৩টি দেশের সঙ্গে এই সমঝোতার ঘোষণা করা হয়েছে।'
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, বিদেশ থেকে কোনও ব্যক্তি ভারতের মাটিতে পা ফেলবার ৯৬ ঘন্টা আগে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করালে গ্রিন চ্যানেলের সুবিধা তিনি পাবেন।
লকডাউনের ফলে বিমান পরিষেবা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিএপিএ নামক এক সংস্থার করা হিসাব অনুসারে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমান দাঁড়াবে ৪-৪.৫ বিলয়ান মার্কিন ডলার।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন