Advertisment

ধর্মের ভুলে হিন্দুর দেহ কবর সৌদিতে, আইনি লড়াইয়ে তিন মাস পর দেহাবশেষ পেলেন স্ত্রী

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে মৃতের শংসাপত্রে ভুল করে ধর্মীয় পরিচয়ের জায়গায় মুসলিম লেখা ছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Pakistan Accident, Bus, Chin

প্রতীকী ছবি

সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে মাস তিনেক আগেই মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু হিন্দু রীতি মেনে হয়নি শেষকৃত্য। দাহ করার বদলে কবর দেওয়া হয়েছিল। শেষপর্যন্ত রীতি মেনে স্বামীর দেহ সৎকারের আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন উনার বাসিন্দা অঞ্জু শর্মা। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর স্বামীর দেহ ফেরত পেলেন ওই মহিলা। বুধবার সকালে এসে পৌঁছয় দিল্লিতে। সেখান থেকে হিমাচল প্রদেশের উনায় পৈতৃক গ্রামে দেহ সৎকার করা হবে।

Advertisment

সঞ্জীব কুমার নামে ওই ব্যক্তি দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে সৌদি আরবে ট্রাকচালকের কাজ করতেন। গত জানুয়ারি মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর পর দেহ জিজানের বায়েশ জেনারেল হাসপাতালে রাখা ছিল। এরপর ২৮ জানুয়ারি দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি স্বামীর দেহ কবর দেওয়ার কথা জানতে পারেন অঞ্জু। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে মৃতের শংসাপত্রে ভুল করে ধর্মীয় পরিচয়ের জায়গায় মুসলিম লেখা ছিল।

এরপরই স্বামীর দেহের হিন্দু রীতি মেনে সৎকারের জন্য আদালত আবেদন করেন অঞ্জু। আদালত সমন পাঠায় বিদেশ মন্ত্রকের পাসপোর্ট-ভিসা দফতরের কনস্যুলার ডিরেক্টর বিষ্ণুকুমার শর্মাকে। তিনি আদালতে জানান, কৃটনৈতিক স্তরে সৌদি আরবের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। যাতে মৃতের দেহ দেশে ফেরানো যায়। ভারতীয় দূতাবাসের চেষ্টায় শেষপর্যন্ত বুধবার স্বামীর দেহ ফেরত পান মহিলা।

হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতিভা এম সিং জানান, আদালতের জন্য স্বস্তির খবর। ভারত ও সৌদি কর্তৃপক্ষের চেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানতে পারেন, মালিকের ভুলে ধর্মীয় পরিচয় বদলে যায় মৃত সঞ্জীব কুমারের। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আন্দাজ করতে পেরে সঞ্জীবের দেহ অমুসলিম গোরস্থানে কবর দেয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, এই ধরনের ঘটনায় ভারতীয় দূতাবাসের অনুমতি ছাড়া যেন কোনও ভারতীয় নাগরিকের বিদেশ বিভুঁইয়ে কবর না দেওয়া হয়।

Himachal Pradesh saudi arabia MEA
Advertisment