দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বালোচিস্তানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন প্রাণ হারালেন। আহত হয়েছেন আরও অন্ততপক্ষে ১৫ জন। দুর্ঘটনার সময় বাসটি ইসলামাবাদ থেকে কোয়েট্টা যাচ্ছিল। সেই সময় ঝোবের কাছে খাদে পড়ে যায়। দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকারীদের পৌঁছতে দেরি হলেও উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। কোয়েট্টার সহকারি পুলিশ কমিশনার মেহতাব শাহ এই প্রসঙ্গে বলেন, 'বাস কোয়েট্টায় ঢোকার মুখে চালক একটা বাঁকের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারান। আর, বাসটা খাদে পড়ে যায়। এখনও পর্যন্ত ১৯টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১১ জন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।'
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির ওপর চিকিৎসকরা সর্বক্ষণ নজর রাখছেন। ঝোব সিভিল হাসপাতালের সুপার ডক্টর নুরুল হক, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। প্রশাসনের ধারণা, বৃষ্টির জন্য এমনিতেই রাস্তা পিছল ছিল। তার মধ্যেই চালক দ্রুতগতিতে বাসটি চালানোর চেষ্টা করেন। তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। দেহগুলো শনাক্তকরণের কাজ চলছে বলেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিজেপি নেতা কি না ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ লস্কর কমান্ডার! পুলিশের হাতে তুলে দিলেন গ্রামবাসীরা
বালোচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মির আবদুল কুদুস বিজেনজো দুর্ঘটনার কারণে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকারই আহতদের যাবতীয় চিকিৎসার ভার নিয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও এক বার্তায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রশাসন আহতদের পাশে আছে বলেই তিনি জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের পাহাড়ি পথে বাস দুর্ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু না। পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ। ট্রাফিক আইন প্রায় মানা হয় না, বললেই চলে। যানবাহনগুলোও চলাচলের অযোগ্য। কিন্তু, সেই সব যানবাহনেই দিব্যি চলছে যাত্রীদের বহন। আর, এই সব কারণে হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটে। গত মাসেই এমনই এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় উত্তর বালোচিস্তানের কিলা সইফুল্লাহ জেলায় একটি বাস খাদে পড়ে যায়। একই পরিবারের ৯ জন-সহ মোট ২২ জন ওই পথদুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
Read full story in English