গতকাল পরিবহণমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ধর্মঘটের হুমকিতে ভয় পায় না তাঁর সরকার। জানিয়েছিলেন, ১৫০০ অতিরিক্ত বাস নামাবেন তাঁরা। ২৪ ঘণ্টাও গেল না, বাস ও মিনিবাস মালিকদের ডেকে বৈঠক করে বাসভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন খোদ শুভেন্দু অধিকারীই। তাঁর ঘোষণার পরেই বাস ও মিনিবাস মালিকরা ধর্মঘটের ডাক প্রত্যাহার করলেন।
বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায় ৭ জুন থেকে লাগাতার বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বাস ও মিনিবাস সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার পরিবহণ দফতরে চিঠি দিয়ে তাঁরা জানিয়েছিল বুধবারই ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা নাহলে কোনও মতে ধর্মঘটের পথ থেকে তাঁরা সরবেন না। ধর্মঘটের কথা শুনে পরিবহণমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘‘বাড়তি দেড় হাজার বাস নামিয়ে সচল রাখব গণপরিবহণ ব্য়বস্থা।’’
কিন্তু যত গর্জাল, তত বর্ষাল না। বুধবার সকালে তড়িঘড়ি নবান্নে বৈঠকে আসতে বলা হয় বাসমালিকদের। বৈঠকে বসলেন মুখ্য়মন্ত্রী, পরিবহণমন্ত্রী ও বাসমালিকরা। বৈঠকের পর শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, মুখ্য়মন্ত্রীর নির্দেশে প্রতি স্তরে এক টাকা করে বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ডিজেলের দাম কমলে ভাড়াও কমবে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে ট্য়াক্সি ও লঞ্চের ভাড়াও বাড়বে বলে তিনি জানিয়েছেন।
২০১৪ সালের পর এই প্রথম রাজ্যে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ধর্মঘটের ডাক প্রত্যাহার করলেও এই ভাড়া বৃদ্ধিতে তাঁরা সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন বাসমালিকরা। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসুরা স্পষ্ট জানিয়েছেন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও আন্দোলন অব্য়াহত থাকবে। এদিকে এই ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছে এসইউসিআই।