/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/09/jobs-759.jpg)
NVS Recruitment 2019 Notification
দেশের আর্থিক বৃদ্ধি যে হারে হচ্ছে, সেই হারে তৈরি হচ্ছে না চাকরির সুযোগ। সম্প্রতি আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য। রিপোর্ট বলছে, ভারতে চাকুরিজীবীদের মধ্যে ৯২ শতাংশ মহিলা এবং ৮২ শতাংশ পুরুষের মাসিক আয় ১০০০০ টাকার কম।
আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সেন্টার ফর সাস্টেইনেবল এমপ্লয়মেন্ট'-এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে দেশের ৬৭ শতাংশ পরিবারের মাসিক আয় ১০ হাজারের কম। যা কিনা সপ্তম কেন্দ্রীয় পে কমিশনের প্রস্তাবিত ন্যূনতম বেতন ১৮০০০ টাকার প্রায় অর্ধেকও না।
আরও পড়ুন, রেলের চাকরীর পরীক্ষায় বসল রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী
১৯৭০ এর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে সে সময় দেশের জিডিপি বা আভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদনের হার তিন থেকে ৪ শতাংশ থাকলে কর্ম সংস্থান বাড়ত ২ শতাংশ করে প্রতি বছর। অথচ এখন জিডিপির হার ৭ শতাংশ, কিন্তু কর্ম সংস্থানের হার ১ শতাংশেরও কম। রিপোর্ট বলছে কর্মহীনতার হার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ২০১১ থেকে ২০১৫-এর মধ্যে। এই সময়ের মধ্যে দেশে ৭০ লক্ষ মানুষ তাদের চাকরি খুইয়েছেন। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ২০১৫ সালের সংগঠিত উৎপাদন ক্ষেত্রে, অসংগঠিত উৎপাদন ক্ষেত্রে এবং অসংগঠিত পরিষেবা ক্ষেত্রে বৃদ্ধি হয়েছিল যথাক্রমে ২, ৪ এবং ৫ শতাংশ।
একসময় মনে করা হত, বেকারত্ব নয়, ভারতের আসল সমস্যা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি এবং বেতনের অভাব, কিন্তু দেশের অর্থনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য এখন সত্যিকারের বেকারত্বই। উচ্চ শিক্ষিতদের বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি, ১৬ শতাংশ। দেশের গড় বেকারত্বের হার বর্তমানে ৫ শতাংশ। উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোয় বেকারত্বের হার ভয়াবহ।