Advertisment

সিএএ প্রতিবাদ, দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যে নিহত তিন বিক্ষোভকারী

লখনউয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন প্রতিবাদকারী যুবক মহম্মদ উকিল।পরিবারের অভিযোগ, সংঘর্ষের এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ে হুসেনবাদ পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর উকিলকে গুলি করে মেরেছে। মুখ খুলতে নারাজ পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সিএএ প্রতিবাদ, দুই বিজেপি শাসিত রাজ্য়ে নিহত তিন বিক্ষোভকারী।

এনআরসি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদীর মৃত্যুর দেখেছে আসাম। এবার তারই প্রতিফলন লখনউ ও মেঙ্গালুরুতে। বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে এনআরসি ও সিএএ বিক্ষোভ প্রবল হয়। দিল্লির পাশাপাশি তা একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদীদের আটকাতে রীতিমত বেগ পেতে হয় পুলিশকে। এরই মাঝে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহর লখনউতে গুলিতে প্রাণ গিয়েছে এক প্রতিবাদীর। উপকূলীয় কর্নাটকের মেঙ্গালুরুতে নিহত দুই বিক্ষোভকারী। প্রতিবাদ দমনের নামে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন মেঙ্গালুরু সিটি কর্পোরেশনের এক কাউন্সিলর। যদিও তা মানতে চায়নি পুলিশ।

Advertisment

বৃহস্পতিবার সব চেয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল দুই বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তর প্রদেশ ও লখনউতে। যোগী আদিত্যনাথের উত্তর প্রদেশজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। তা উপেক্ষা করেই মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ আটকালে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। মাদেগঞ্জে একটি পুলিশ ফাঁড়ির বাইরে একাধিক গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। লখনউয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এনআরসি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদীকারী বছর ২৫-এর যুবক মহম্মদ উকিল । পরিবারের অভিযোগ, সংঘর্ষের এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ে হুসেনবাদ পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর উকিলকে গুলি করে মেরেছে। সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে, এই মৃত্যুর সঙ্গে বিক্ষোভের আদৌ কোনও যোগ নেই বলে দাবি যোগীর রাজ্যের পুলিশের ডিজির। ঘটনা নিয়ে বেশি কিছু বলতে চায়নি তারা।

আরও পড়ুন : ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহের আটকে নিন্দায় সরব মমতা

মেঙ্গালুরুতেও গুলিতে নিহত হন আবদুল জলিল (৪৯) এবং নৌশিন (২৬)। এক্ষেত্রেও অভিযোগের তির পুলিশের দিকে। প্রশাসনের আধিকারিকরা এই মৃত্যু নিয়ে মুখ না খুললেও, মেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার স্থানীয় সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জানান, 'হিংসার কারণে দু'জন গুলিতে নিহত হয়েছেন।' সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের হঠাতে হাসপাতালের মধ্যে প্রবেশ করে পুলিশ লাঠি চালাচ্ছে।

ঘটনার পরই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা পুলিশের এডিজিকে নির্দেশ দেন মেঙ্গালুরুতে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের। মুখ্যমন্ত্রী জানান, '৪৮ ঘন্টার জন্য মেঙ্গালুরুতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।' গত বুধবারই ইয়েদুরাপ্পা বলেছিলেন কর্নাটকে সিএএ লাগু হবে। এরপরই বিক্ষোভের তীব্রতা প্রবল হয়। বৃহস্পতিবার অবশ্য তিনি আশ্বাস দেন, 'নয়া আইনে কোনওভাবেই মুসলমানদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে না।'

গতকাল দিল্লি সহ একাধিক শহরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও নআরসির প্রতিবাদে বিক্ষোভে শামিল হন বহু বিশিষ্ট জন। বেঙ্গালুরুর জমায়েতে ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে হেনস্থা করে আটক করে পুলিশ। দিল্লিতে আটক করা হয় সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, নীলোৎপল বসু, বৃন্দা কারাট, যোগেন্দ্র যাদব, উমর খালিদের মতো নেতাদের। কলকাতায় সভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিক্ষোভ মিছিলে হাঁটেন অর্পণা সেন, কৌশিক সেনের সহ বহু বিশিষ্ট মানুষ।

Read the full story in English

nrc caa
Advertisment