নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল দেশ। তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোনও দিন এনআরসি নিয়ে কথা বলেননি বরং বিরোধীরাই মারাত্মক জল্পনা ছড়িয়ে দেশে এমন আগুন জ্বালিয়েছেন, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই বক্তব্যের পর একাধিক বিতর্ক তৈরি হলেও নিজের মন্তব্যে অবিচল ছিলেন মোদী। বুধবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, "অধিকার এবং দায়িত্ব"-এর পার্থক্য মাথায় রেখেই প্রতিবাদ করা উচিত। উত্তরপ্রদেশকে উত্তাল করা বিক্ষোভকারীদের নিশানা করে নমো বলেন, "যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছেন তাঁরা নিজেদের একবার জিজ্ঞেস করুন যে তাঁরা ঠিক কাজ করেছেন কি না।"
Advertisment
বুধবার লখনউর লোক ভবনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ব্রোঞ্জের মূর্তি উন্মোচন করেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর নামে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাসও করেন। সেখান থেকেই মোদী বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে যেমন অধিকার আছে মানুষের, তেমনই শিক্ষক, ডাক্তার এবং পুলিশ প্রশাসনের প্রতি নাগরিক কর্তব্য এবং দায়িত্ব পালনও করতে হবে সকলকে। সিএএ আইনের বিরোধিতায় রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশ, প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। নাগরিক অধিকার থাকা মানে যে দেশের প্রতি দায়িত্ব, কর্তব্য এড়িয়ে যাওয়া নয়, প্রতিবাদকারীদের এমন ক্ষুরধার বক্তব্যেই বেঁধেন নমো।
৭৫ তম বর্ষে এগোচ্ছে ভারতের স্বাধীনতা, সেই প্রসঙ্গ টেনেই মোদী বলেন, "অধিকার একটি মর্যাদা। তাঁর একটি সীমা আছে। কিন্তু দায়িত্ব, কর্তব্যর ভাবনা অনেক বৃহৎ। আমি এসব বলছি তাঁর কারণ উত্তরপ্রদেশে প্রতিবাদের নামে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে এবং সরকারি সম্পত্তি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই পরিস্থিতিতে তাঁদের নিজেদের নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত। যা ছিল, ভবিষ্যতে তা তাঁদের সন্তানদের জন্যই তো ছিল। যদিও জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদকে 'পুরোনো অসুখ' বলেই অভিহিত করেছেন তিনি। এমনকি রামজন্মভূমি মামলাকেও 'শান্তিপূর্ণভাবে' মিটমাট করা গিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন প্রসঙ্গে মোদী বলেন, যারা পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন তাঁদের মর্যাদা রক্ষার জন্য তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া একটি সমস্যা ছিল ঠিকই, তবে ১৩০ কোটি ভারতীয়রাই এর সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। চ্যালেঞ্জ যাই হোক না কেন! চ্যালেঞ্জকে চ্যালেঞ্জ জানানই আমাদের অভ্যেস।"