Advertisment

CAA: জারি বিজ্ঞপ্তি, লোকসভা ভোটের আগেই দেশজুড়ে কার্যকর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, মোদীর মাস্টারস্ট্রোক?

PM Modi CAA: আইনটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পাস করা হয়েছিল সংশোধিত নাগরিকত্ আইন। এই আইন অনুসারে, মুসলিম ছাড়া ভারতের তিন প্রতিবেশী পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে যেসব হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা এদেশে চলে এসেছিলেন ২০১৪ সালের ৩১-এ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত- তাদের ভারতের নাগরিক্ত দেওয়া হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CAA rules notification PM Narendra Modi updates , সিএএ কার্যকর প্রধানমন্ত্রী মোদী

BJP Government: সিএএ কার্যকর হল, কাদের সুবিধা হবে এই আইনে?

PM Modi On Citizenship Amendment Act: ভোটের আগেই প্রতিশ্রুতি রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকরের কথা জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisment

আরও পড়ুন- Mamata CAA: সিএএ নিয়ে মোদীর ঘোষণার আগেই তেড়েফুঁড়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার

লোকসভা ভোটের ঠিক আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নিয়ম জারির কথা জানিয়েছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন যে, নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ কার্যকর হবে। যা বাস্তবায়িত হল সোমবার। মনে করা হচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়ে যেতে পারে।

বাংলায় বসবাসকারী মহিলাদের সিএএ-র দাবি বহুদিনের। যা কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ২০১৪ সালে মতুয়াদের ভোটে থাবা বসায় গেরুয়া বহিনী। পরবর্তী পাঁচ বছর নরেন্দ্র মোদী সরকার এই প্রতিশ্রুতি পূরণে পদক্ষেপের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত আইন করা হয় ২০১৯ এর ডিসেম্বরে। সংসদে এই সংক্রান্ত বিল পাস হওয়া মাত্র রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি দেন। কিন্ত তারপর পাঁচ বছর পেরলেও সিএএ বিধি তৈরি হয়নি। যা নিয়ে মতুয়াদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ কার্যকর হবে। অবশেষে সেই সিএএ-ই কার্যকর হল। এতে সুবিধা হবে অগনিত মতুয়া, নমোশূদের।

সিএএ আইন আসলে কী?

২০১৯ সালে পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা ভারতে নাগরিকত্ব পাবেন। আপাতত ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আশ্রয় নেওয়া এই সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন- এনআরসি + সিএএ = নাগরিকত্ব হলে আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে?

এই আইন সাম্প্রাদায়িক বলে দাবি করেছিল দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলো। করোনাকালের আগে থেকেই দেশের নানা প্রান্তে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। বাংলায় সিএএ কার্যকর করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের এদিনের ঘোষণার আগেই তোপ দাগেন তিনি। বলে দেন, ' কোনও বৈষম্য মানব না। এই জন্যই কি তাহলে মতুয়াদের আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছিল? যাঁরা এতদিন এই রাজ্যে আছেন, লেখাপড়া করছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব কাড়ার চেষ্টা কেন হচ্ছে? এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ছলনা। আমি গোটা আইনটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। এখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা প্রত্যেকে এদেশের নাগরিক। তাঁদের প্রত্যেকের সামাজিক, রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক, সম্পত্তিগত অধিকার আছে।'

Citizenship Amendment Act PM Modi PM Narendra Modi caa
Advertisment