অসমে নাগরিকত্ব আইন বা CAA লাগু হবে না। যদি কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে নাগরিকত্ব আইন লাগু করা হবে না সে রাজ্যে। রবিবার শিবসাগর জেলার এক জনসভায় এই প্রতিশ্রুতি দেন রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যে রাজ্যব্যাপী এনআরসি লাগু করে বিপাকে অসমের বিজেপি সরকার।
অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিতের নামে উল্টে অনেক ভূমিপুত্ররা ডিটেনশন ক্যাম্পে গিয়েছেন। এমনটাই বিরোধীদের অভিযোগ। এই আবহে নাগরিকত্ব আইন বা সিএ প্রণয়নে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় এই গড়িমসির মধ্যেই এদিন অসমে সিএ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন কংগ্রেস সাংসদ।
এদিন শিবসাগরের সভামঞ্চে রাহুল-সহ অন্য কেন্দ্রীয় এবং প্রদেশ নেতারা অসমের আটপৌরে পোশাকে ছিলেন। কাঁধে গোমুসা বা তোয়ালে রেখে বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী-সহ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
অতিমারির সময়ে জনগণের টাকা লুঠ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার অসমের এক জনসভায় এই ভাষায় আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। দেশের পাঁচটি রাজ্যের সঙ্গে চলতি বছর এপ্রিলে অসমেও বিধানসভা ভোট। তাই ভোটমুখী পূর্বের এই রাজ্যে রবিবার জনসভা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। শিবসাগর জেলার এই জনসভায় এই কংগ্রেস সাংসদ ফের ‘হাম দো, হামারে দো’ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর দুই বিশেষ বন্ধুর ঋণ মকুব করে চলেছেন। আর মানুষের টাকা লুঠ করছেন।’ এমনকী, অসমের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শুধু নাগপুর আর দিল্লির কথা শুনে কাজ করে। এমন ভাবেও সর্বানন্দ সোনওয়ালকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস সাংসদ।তিনি বলেন, ‘রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, মুখ্যমন্ত্রীকে নয়। আপনাদের একটা নিজস্ব মুখ্যমন্ত্রী দরকার। সে আপনাদের কথা শুনবেন, নাগপুর বা দিল্লির কথা নয়।’