কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় বুধবার ক্যাব পেশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যেসব মুসলিমরা এদেশে ইতিমধ্যেই বাস করছেন, তাঁদের উপর এ বিল কোনও প্রভাব ফেলবে না। তবে কংগ্রেস বলেছে এই বিল নৈতিকতার পরীক্ষায় ফেল করেছে।
Advertisment
"এই বিল ভারতের মুসলিমদের বিরোধী বলে অপপ্রচার চলছে। তাঁরা ভারতের নাগরিক এবং ভারতের নাগরিকই থাকবেন। ভারতে বসবাসকারীদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোনও রকম বৈষম্য নেই।" তবে তিনি একইসঙ্গে বলেন, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলি থেকে পালিয়ে আসা মুসলিম নাগরিকদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া সম্ভব নয়।
এই বিলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেবার কথা বলা হয়েছে। অমিত শাহ বলেন, এই তিনটি দেশে সংখ্যালঘুরা সমানাধিকার থেকে বঞ্চিত।
এই বিলকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটের আগে ক্যাবের কথা বলা হয়েছিল। তাঁর দাবি, যাঁরা ভোট দিয়ে এনডিএ সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন, তাঁরা জানতেন ক্যাব আনা হবে। তিনি বলেন, "এই বিল নিপীড়িত মানুষের কাছে আশার বাণী। এ বিল অন্য দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার লাখো মানুষকে সহায়তা করবে।"
অমিত শাহ বলেন, "পাকিস্তান এবং বর্তমান বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। হয় তাঁরা খুন হয়েছেন, নয়ত তাঁরা ভারতে পালিয়ে এসেছেন।"
এ দেশকে সংখ্যালঘুদের জন্য ১০০ শতাংশ নিরাপদ বলে বর্ণনা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন অন্য দেশ থেকে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘুদের এ দেশে এসে পৌঁছনর দিন থেকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
"এ বিল নিয়ে কোনও মুসলিমদের আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। যদি আপনাদের কেউ ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন, তাহলে ভয় পাবেন না। এই নরেন্দ্র মোদী সরকার সম্পূর্ণ সংবিধান মেনে চলছে, সংখ্যালঘুরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তা পাবেন।"
কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা এই বিলের বিরোধিতা করে প্রশ্ন তুলেছেন, সরকার কেন এত তাড়াহুড়ো করে বিল পাশ করাতে চাইছে। তিনি বলেন, এই বিল সবার আগে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠান উচিত।
আনন্দ শর্মা বলেন, "এই বিল ভারতীয় সংবিধানের উপর আঘাত, প্রজাতান্ত্রিক ভারতের উপর আঘাত। এ বিল সংবিধান ও গণতন্ত্রের বিরোধী। নৈতিকতা পরীক্ষায় এ বিল অকৃতকার্য হয়েছে।"