Advertisment

আচমকা কী হল? চিন সীমান্তে জওয়ানদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে কেন্দ্র

সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, সীমান্তের পরিস্থিতি 'স্থিতিশীল কিন্তু অপ্রত্যাশিত'।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ITBP

চিন-ভারত সীমান্তে ছাইচাপা উত্তেজনা বাড়ল। ভারত সীমান্তে চিন সেনাসংখ্যা বাড়াচ্ছে। এই খবরে কার্যত সিলমোহর দিল কেন্দ্র। বুধবার তার ভিত্তিতে সীমান্তে আরও ৯,০০০ আইটিবিপি জওয়ান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, সাতটি ব্যাটেলিয়নের পাশাপাশি এক সেক্টরের সদর কার্যালয়ও তৈরি হতে চলেছে চিন সীমান্তে। শুধুমাত্র চিনের কথা মাথায় রেখেই আইটিবিপি তৈরি করেছে ভারত।

Advertisment

চিন সীমান্তে ভারতীয় প্রতিরক্ষার প্রথম দেওয়াল এই আইটিবিপি জওয়ানরা। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে সীমান্তে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ভারত ও চিনের জওয়ানরা। লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশের মত একাধিক জায়গায় ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে চিনের বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে যে ডেপসাং সমভূমি এবং লাদাখের চার্ডিং নালা অঞ্চল-সহ বিভিন্ন ভারতীয় এলাকায় ভারতীয় বাহিনীকেই ঢুকতে দিচ্ছে না চিনের সেনা।

এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে তাদের মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। এতে আইটিবিপির জওয়ানরা আরও ভালো প্রশিক্ষণ পাবেন। কঠোর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে আরও অভিজ্ঞতা জওয়ানরা সঞ্চয় করতে পারবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ২০১৩-১৪ সাল থেকেই চিন সীমান্তে আরও বেশিসংখ্যক আইটিবিপি জওয়ানদের মোতায়েন করা নিয়ে আলোচনা চলছিল।

প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল, ১২টি ব্যাটেলিয়ন চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হবে। কিন্তু, পরে সেই সংখ্যাটা কমিয়ে সাত করা হয়েছে। তবে, সীমান্ত বরাবর ফাঁড়ি এবং ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ের ইয়াংজি অঞ্চলে ভারতীয় ও চিনা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পটভূমিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন- ‘একদিন দেশে আর সংবাদমাধ্যম থাকবে না,’ কেন এমন বললেন মমতা?

এই ঘটনার আগে এবং পরে, সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে একাধিকবার জানিয়েছেন, চিন-ভারত সীমান্তের পরিস্থিতি 'স্থিতিশীল কিন্তু অপ্রত্যাশিত' থেকে গিয়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে লাদাখে ভারতীয় ও চিনা বাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এর ফলে ২০২০ সালের জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছিল।

তারপর থেকে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে লাদাখের সাতটি উত্তেজনাপূর্ণ কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটি থেকে উভয়পক্ষই সেনা পিছিয়ে নিয়েছে। কিন্তু, ওই অঞ্চলে চিন ও ভারত উভয়পক্ষই বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে।

Read full story in English

Indian army ITBP China Army
Advertisment