আট রাজ্যের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে শনিবার বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৭ হাজার সংক্রমণের খবর মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে ১১৩ জনের। একসময় সংক্রমণ নেমেছিল ১১ হাজারের নীচে আর মৃত্যু একশোর নীচে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে সংক্রমণ আর মৃত্যুর সংখ্যা। ফলে গণটিকাকরণ আবহেও উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, গত একদিনে সংক্রমিতের মধ্যে অর্ধেক মহারাষ্ট্রের। সে রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৮,৩৩৩ জন। কেরলে সংক্রমিত ৩,৬৭১ এবং পাঞ্জাবে সংক্রমিত ৬২২ জন। দেশব্যাপী এখন সক্রিয় সংক্রমণের সংখ্যা ১.৫৬ লক্ষ।
ইতিমধ্যে, গত তিন দিন গড়ে প্রায় ২০০ জন সংক্রমিত দিল্লিতে। শুক্রবার ২৫৬ জন সংক্রমিত আর একজন মৃত। এই সংখ্যা ধরে দিল্লিতে মোট সংক্রমিত ৬,৩৮,৮৪৯ জন। মৃত প্রায় ১১ হাজার।
এদিকে, টিকাকরণ শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আশঙ্কা সত্যি করে দেশে ফের বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তো বৃদ্ধি হয়েছে পাশাপাশি পুনেতে প্রতি দিনের আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটা। কোভিড সংক্রমণে বেঙ্গালুরুকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই জেলা। চার মাসের মধ্যেই করোনার এমন প্রাবল্য কিছুটা চিন্তা বৃদ্ধি করেছে।
পুনেতে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হল ৪.০৬ লক্ষ। সেখানে বেঙ্গালুরুতে ৪.০৪ লক্ষ। দিল্লিতে সেই সংখ্যা ৬.৩৮ লক্ষ। গত চার দিনে পুনেতে একাধিক অনুষ্ঠানও ছিল। তাই গত আট দিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার। দেশের সর্বত্র করোনা নির্মূল হয়নি। তবে কিছুটা কমতির দিকে। যদিও দিল্লি ও বেঙ্গালুরুতে কয়েক’শ নয় সংক্রমণ পৌঁছেছে হাজারে। যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক।
অপর দিকে, পয়লা মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার গণটিকাকরণ। পঞ্চাশোর্দ্ধ এবং ৪৫ বছরের ওপরে যাঁরা, তাঁরা পাবেন এই টিকা। আর কোমর্বিডিটি যাঁদের আছে, ৪৫-এর ওপরে তাঁরাই পাবেন টিকা। তবে কীভাবে তৃতীয় পর্যায়ের গণটিকাকরণে নাম নথিভুক্ত হবে? অনুসরণ হবে কোন পদ্ধতি? সে নিয়ে শুক্রবার রাজ্যগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই বৈঠকে উল্লেখ, পরিকাঠামো খাতে প্রয়োজনে টিকা পিছু সর্বোচ্চ ১০০ টাকা চার্জ করতে পারে বেসরকারি হাসপাতালগুলো।