Advertisment

রাফাল চুক্তির কয়েক মাস আগেই প্রতিরক্ষা নীতিতে বদল! CAG রিপোর্ট ফাঁস

রাফাল নির্মাণকারী সংস্থাকে সুবিধা করে দিতেই নীতি বিরুদ্ধ কাজ করে মোদী সরকার?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাফাল যুদ্ধবিমান

ফের বিপাকে কেন্দ্র সরকার। রাফাল চুক্তি নিয়ে বিস্ফোরক রিপোর্ট ক্যাগের (CAG)। রাফাল চুক্তির জন্য প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ নীতি বিরুদ্ধ কাজ করেছে মোদি সরকার। এমনই তথ্য দিচ্ছে ভারতের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেলের রিপোর্ট। রিপোর্টে প্রকাশ, ২০১৬ সালের এপ্রিলে রাফাল চুক্তির জন্য কেন্দ্রীয় নীতি পরিবর্তন করে সরকার। যার ফলে রাফাল নির্মাণকারী সংস্থাকে ভারতে অফসেট পার্টনারের নাম গোপন রাখার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। তারপর ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে ফ্রান্সের সংস্থা দাসো এভিয়েশনের কাছ থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনে ভারত।

Advertisment

কয়েক দিন আগেই সংসদে জমা দেওয়া রিপোর্টে ক্যাগ জানিয়েছে, ২০১৫ সালেই প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ নীতিতে বদল আনে কেন্দ্র। তারপর তা ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হয়। অর্থাৎ রাফাল কেনার কয়েক মাসে আগে। এই নীতি বদলের ফলে দাসো এভিয়েশন ভারতে তার অফসেট পার্টনারের নাম গোপন রাখার ক্ষমতা পায়। পরবর্তীতে জানা যায়, অনিল আম্বানির সংস্থা দাসো এভিয়েশনের অফসেট পার্টনার। কিন্তু ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরে রাফাল চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সেকথা গোপন রাখে দাসো।

আরও পড়ুন CAG রিপোর্টে বিতর্কের জেরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘অফসেট’ শর্ত ছেঁটে ফেলল কেন্দ্র

রাফাল চুক্তির ক্ষেত্রে গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে অফসেট শর্ত মানার কথা ছিল দাসো এভিয়েশনের। কিন্তু সেই নিয়ম মানা হয়নি। এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও নিজের দায়িত্ব পালন করেনি। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ নীতি অনুযায়ী, টেকনিক্যাল অফসেট ইভ্যালুয়েশন কমিটি অফসেট শর্ত পালন হচ্ছে কি না তা দেখভালের দায়িত্বে ছিল। এই কমিটির সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়ার কথা শর্তসীমার ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে। ক্যাগ আরও জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে গতবছর মে মাসেই অফসেট শর্ত নিয়ে জানিয়েছিল।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Rafale CAG
Advertisment