ইউপিএ আমলের রাফাল চুক্তির তুলনায় এনডিএ সরকারের চুক্তি ২.৮৬ শতাংশ সস্তা, জানাল কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (ক্যাগ) রিপোর্ট। বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন রাজ্যসভায় এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এদিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার চুক্তি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে ক্যাগ। এই রিপোর্টেই দুই আমলের রাফাল চুক্তির দাম উল্লিখিত হয়েছে।
ক্যাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার পুরানো চুক্তির (ইউপিএ আমলের) তুলনায় বর্তমান সরকারের ৩৬টি বিমান কেনার চুক্তিতে ক্রয়মূল্য বাবদ জাতীয় কোষাগারের ১৭.০৮ শতাংশ অর্থ কম খরচ হয়েছে। এছাড়া পূর্ববর্তী চুক্তিতে উল্লিখিত ১২৬টি বিমান হস্তান্তরের সময়কালও বেশি ছিল। কিন্তু, নয়া চুক্তিতে প্রথম ১৮টি বিমান হস্তান্তরের সময়ও অনেকটা কম বলে দাবি করেছে ক্যাগের রিপোর্ট।
আরও পড়ুন: বয়ান রেকর্ড শেষ, কলকাতা ফিরছেন রাজীব কুমার
ক্যাগের এই রিপোর্ট রাজ্যসভায় পেশ হতেই বিরোধী দলগুলির উদ্দেশে তীব্র আক্রমণ হেনেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর দাবি, কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলির মিথ্যা জনসমক্ষে এনে দিল এদিনের রিপোর্ট। একাধিক টুইট করে জেটলি জানান, "সুপ্রিম কোর্ট ভুল বলছে, ক্যাগ ভুল বলছে, শুধু পরিবারতন্ত্রই ঠিক বলছে - এমনটা হতে পারে না। সত্যমেব জয়তে।" জেটলি প্রশ্ন তোলেন, যাঁরা এতদিন দেশকে রাফাল প্রসঙ্গে বিপথে চালিত করল, তাঁদের কীভাবে শাস্তি হবে?
উল্লেখ্য, 'রাফাল দুর্নীতি' প্রসঙ্গে 'চৌকিদার চোর হ্যায়' স্লোগান তুলে বেশ কয়েক মাস ধরে সরব হয়েছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। রাফাল চুক্তির মাধ্যমে 'বন্ধু' অনিল আম্বানিকে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর। এর পাশাপাশি, রাফাল চুক্তির মূল্যায়ন থেকে ভারতের বর্তমান কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল রাজীব মেহর্ষির সরে দাঁড়ানো উচিত বলেও দাবি করে কংগ্রেস। শতাব্দী প্রাচীন দলটির অভিযোগ, মোদী সরকারের আমলে যখন রাফাল চুক্তি সম্পাদিত হচ্ছে, সে সময় অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অর্থ সচিবের পদে নিযুক্ত ছিলেন রাজীব মেহর্ষি। সেই মেহর্ষিই এখন কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল। ফলে, রাফাল চুক্তির মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তাঁর 'স্বার্থের সংঘাত' ঘটতে পারে।
Read the full story in English