Protest Against CAA in Assam: লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার রাত থেকে দেশজুড়ে বহু প্রতীক্ষীত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৯ সালে আইন পাশ হওয়ার পরেও রুল জারি না হওয়ায় এই আইন কার্যকর করা হয়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে আগেই এই আইন কার্যকর করল বিজেপি সরকার। আর এই আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই অসমে বিক্ষোভ চরমে পৌঁছল।
এদিন সন্ধেয় ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যে বিভিন্ন গণ সংগঠন, বিরোধী দল বিক্ষোভ-অবস্থান শুরু করে। কোথাও শান্তিপূর্ণ ভাবে আবার কোথাও আগুন জ্বালিয়ে-পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অসমে চাপা উত্তেজনা ছিল। ভোট ঘোষণা হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বার বার সিএএ কার্যকর হওয়ার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছিলেন। এদিন বাঁশের ব্যারিকেড করে গুয়াহাটির একাধিক জায়গায় সুরক্ষা বন্দোবস্ত করেছিল প্রশাসন। নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছিল বিধানসভা জনতা ভবনের বাইরে। প্রচুর পুলিশ এবং ব্যারিকেড মোতায়েন করা হয়।
গুয়াহাটির একাধিক জায়গার পাশাপাশি কটন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অসম জাতীয় পরিষদের সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈ সোমবার অসমের কালা দিবস ঘোষণা করেছেন। ২০১৯ সালে অসমে ভয়ঙ্কর বিক্ষোভ-আন্দোলনের সময় এই সংগঠনের জন্ম হয়। তারা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে।
আরও পড়ুন CAA: জারি বিজ্ঞপ্তি, লোকসভা ভোটের আগেই দেশজুড়ে কার্যকর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, মোদীর মাস্টারস্ট্রোক?
গগৈ বলেছেন, 'প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এবং বর্তমান হিমন্ত বিশ্বশর্মা দিল্লির কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন আর এই আইনকে সমর্থন জানিয়েছেন। অসমের জনতা এই অপরাধ ক্ষমা করবেন না। এটা অসমিয়া সমাজের প্রতি অপরাধ।' উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সিএএ নিয়ে সবচেয়ে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল অসম। সেই সময় বিক্ষোভ-আন্দোলনে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।