ভারত ও কানাডার মধ্যে চলমান কূটনৈতিক বিবাদে কানাডাকে তার নিজের ভাষায় জবাব দিয়েছে ভারত। খালিস্তানি ইস্যুতে কানাডাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে ভারত। এবার ভারতের সঙ্গে আপোষের পথেই হাঁটতে চাইছে কানাডা। ভারতের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেও সুর নরম কানাডার। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন কানাডা এখনও ভারতের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। জাস্টিন ট্রুডোও স্বীকার করেছেন যে ভারত একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ এবং তা কোনভাবেই উপেক্ষা করা যায় না।
ট্রুডো স্বীকার করেছেন – ভারত একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ
বৃহস্পতিবার কানাডার মন্ট্রিলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন যে 'তিনি বিশ্বাস করেন যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামেও ভারতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ট্রুডো বলেছিলেন যে ভারত একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে এবং ভূ-রাজনৈতিকভাবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে ভারত। আমাদের ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে আমরা খুবই আন্তরিক।
'আমেরিকা আমাদের সঙ্গে'
জাস্টিন ট্রুডো আরও বলেছেন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছেন যে মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনার সময় আমেরিকা নিজ্জার হত্যার বিষয়টিও উত্থাপন করবে। ট্রুডো বলেছিলেন যে আমেরিকা আমাদের সঙ্গে আছে এবং তারা কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিক হত্যার বিষয়টি ভারতের কাছে উপস্থাপন করবে আমেরিকা।
ভারত-কানাডা বিরোধ কী?
ট্রুডো বলেছিলেন যে 'সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশ চায় যে সকল দেশ তাদের আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন।' চলতি বছরের জুন মাসে কানাডায় খুন হন খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সম্প্রতি কানাডার পার্লামেন্টে অভিযোগ করেছেন যে তার সরকার গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে যে নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টরা জড়িত থাকতে পারে। ট্রুডোর এই অভিযোগের পর, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং ভারত ট্রুডোর বক্তব্যকে অযৌক্তিক বলে প্রত্যাখ্যান করে। এর পর কানাডা একজন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে এবং ভারতও জবাবে একজন কানাডিয়ান কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। এছাড়া কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়াও নিষিদ্ধ করেছে ভারত।