কানাডায় হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা ঘটনা গত সপ্তাহ থেকে বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। কানাডা চাঞ্চল্যকরভাবে ভারতকে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে। চার দিন আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে এই অভিযোগ করেন। এরপরই তিক্ত হয় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক।
এখন দু দেশের সম্পর্ক চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ট্রুডোর অভিযোগের পর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া কানাডার পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে, ট্রুডো অভিযোগ করার আগে, কানাডার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোডি থমাস এক মাসের মধ্যে দুবার ভারত সফর করেছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন প্রকাশ্যে ভারতকে অভিযুক্ত করার আগেও কানাডা ভারতের সঙ্গে এই হত্যা নিয়ে আলোচনা করেছিল। ট্রুডোর এহেন বিবৃতি সামনে আসার পরই জানা গিয়েছে কানাডার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোডি থমাস এক মাসে দুবার ভারত সফর করেছিলেন। এই সফরে থমাস ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে দেখা করেন এবং তার সঙ্গে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা্র ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি এই বিষয়ে ভারতে জড়িত থাকার সন্দেহের কথাও ডোভালকে জানিয়েছেন।
G20 সম্মেলনে ট্রুডো-মোদির মধ্যে আলোচনা?
এদিকে, একদিকে কানাডার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের ভারত সফরের তথ্য যখন সামনে আসছে, তখনই দিল্লিতে ৯-১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত G20 সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই নিজ্জ্র হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে। এই আলোচনার সময় ট্রুডো মোদীর কাছে সন্দেহ প্রকাশ করেন যে নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকার জড়িত। যদিও তখনও ভারত স্পষ্ট ভাষায় অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিল।
নিজ্জার হত্যা মামলাটি আসলে কী?
১৮ জুন খালিস্তানি সমর্থক হরদীপ সিং নিজ্জার কানাডায় খুন হন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে এই হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকার জন্য গুরুতর অভিযোগ করেন। ভারতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বহিষ্কারও করা হয়। পরবর্তীকালে, ভারতও প্রকাশ্যে অভিযোগ অস্বীকার করে এবং কানাডার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে। এখন ভারত সাময়িকভাবে কানাডায় ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। উভয় দেশই তাদের নাগরিকদের একে অপরের দেশে ভ্রমণের সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
আমেরিকার ভূমিকা কি?
এদিকে, গোটা বিশ্ব দেখেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন G20 সম্মেলনে বন্ধুত্বপূর্ণ ভঙ্গিতে মোদীর সঙ্গে করমর্দন করছেন। তবে এ ক্ষেত্রে আমেরিকা কানাডার পাশে দাঁড়িয়েছে। “আমরা কানাডা এবং ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। এ ধরনের ক্ষেত্রে কোনো দেশকে ব্যতিক্রম হিসেবে আলাদাভাবে বিবেচনা করা যায় না। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, ট্রুডোর অভিযোগ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।