কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন। ট্রুডো বলেছেন যে কানাডা মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লির সঙ্গে হত্যা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য শেয়ার করেছে। তথ্য অনুসারে ট্রুডো দাবি করেছেন ভারতীয় এজেন্টরা খালিস্তানি সন্ত্রাসদাবীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল।
অটোয়াতে মিডিয়াকে সম্বোধন করে ট্রুডো বলেন, ‘কানাডা ভারতের সঙ্গে 'বিশ্বাসযোগ্য' অভিযোগ শেয়ার করেছে যা আমি সোমবার বলেছি। আমরা কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের সঙ্গে হত্যার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করেছি। কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন যে আমরা ভারতের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে চাই। আমরা আশা করি যে ভারত আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে যাতে আমরা অত্যন্ত গুরুতর এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে পারি'। ভারত স্পষ্টভাবে এই অভিযোগগুলি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এগুলিকে ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে।
মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে কানাডা সরকার এক মাস ধরে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী নিজ্জার হত্যার তদন্ত করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে গোয়েন্দা তথ্যের বিষয়ে কানাডায় উপস্থিত ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেদেশের প্রশাসনের কথোপকথন হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সের সঙ্গে জড়িত এক সহযোগীর পক্ষ থেকে কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। ফাইভ আই গ্রুপ হল একটি ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং নেটওয়ার্ক যার মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। কানাডার সংবাদ মাধ্যম সিবিসিএ গোয়েন্দা সংস্থাকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে তাদের কাছে হত্যার বিষয়ে প্রমাণ রয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময়, ট্রুডো বলেছিলেন, "ভারতের বিষয়ে, কানাডা বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগগুলি দিল্লির কাছে উপস্থাপন করেছে। যা আমি সোমবার বলেছিলাম। আমরা গঠনমূলকভাবে তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা আশা করি ভারত আমাদের তদন্তে সব রকম ভাবে সাহায্য করবে যাতে অত্যন্ত গুরুতর বিষয়টির সমাধান হতে পারে।"
ভারত কানাডার পার্লামেন্টে দেওয়া ট্রুডোর বিবৃতিগুলিকে প্রত্যাখ্যান করেছে, বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে "কানাডায় হিংসার যে কোনও ঘটনায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ" অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” ।