Advertisment

বিদেশমন্ত্রকের কড়া মনোভাব, ডেডলাইন পেরোতেই কানাডার বড় পদক্ষেপ, তলানিতে দু’দেশের সম্পর্ক?

খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার খুনে ভারতের যোগ থাকার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকে দু'দেশের মধ্যে সংঘাত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Hardeep Singh Nijjar, canada india relations, canada india ties, india diplomat row, 41 canadian diplomats, canada controversy india pm modi Prime Minister Justin Trudeau, canada visa issue, canada pm vs pm modi, india canada tensions, india canada news, Nijjar killing row, withdraw diplomats, repatriate canada diplomats, indian government asks canada to withdraw diplomats, india canada diplomatic relationship, khalistani terrorist, canada india tensions, khalistan canada",

কানাডার বিদেশসচিব জোলি ১৯ অক্টোবর কূটনীতিকদের ফোন করে দেশে ফেরার কথা জানান।

খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংঘাতে নয়া মোড়। এবার কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নিল জাস্টিন ট্রুডো। নয়াদিল্লি কানাডিয়ান কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য  এর আগে  রীতিমতো সময় বেঁধে দেয়। ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে থাকা কানাডার কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যেতে হবে, ট্রুডো সরকারকে কড়া বার্তা দিয় ভারত। সময়সীমা অতিক্রম হয়ে যাওয়ার কারণে কানাডা ভারতে থাকা ৪১ জন কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে।

Advertisment

জুন মাসে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে খুন হন খলিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জর। এর পর কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো  অভিযোগ করেন, খলিস্তানি নেতা খুনের নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে। মন্তব্যের পর থেকে ভারত-কানাডা টানাপোড়েন অব্যাহত। দুই দেশ থেকেই অপর দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আমেরিকার মাটিতে এনিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “কানাডা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আখড়া হয়ে উঠেছে। যা খুবই উদ্বেগজনক। আমাদের উচিত এই নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ভারত সব সময় এর বিরোধিতা করবে।”

ভারত-কানাডার মধ্যে এই সংঘাত আবহে ভারত সরকার দেশে থাকা ৪১ জন কূটনীতিককে কানাডায় ফিরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার খুনে ভারতের যোগ থাকার অভিযোগ সামনে এনেছিলেন। এরপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকে। কানাডার বিদেশসচিব জোলি ১৯ অক্টোবর কূটনীতিকদের ফোন করে দেশে ফেরার কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "ভারতের কর্মকাণ্ডের কারণে আমাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের ভারত থেকে ফিরিয়ে নিয়েছি। ভারত ছেড়ে যাওয়া ৪১ জন কূটনীতিকের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যও রয়েছেন ৪২ জন।" পাশাপাশি জোলি বলেন, কূটনীতিক ফেরানোর এই নির্দেশ "অযৌক্তিক এবং নজিরবিহীন এবং স্পষ্টভাবে এই পদক্ষেপ ভিয়েনা কনভেনশনের নীতিবিরুদ্ধ"।

নিজ্জর খুনে ভারত কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কানাডায় শীর্ষ ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কারের প্রতিবাদে ভারতও পাল্টা জবাব দেয়।  ভারতও এক কানাডিয়ান কূটনীতিককে ৫ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। সেই থেকেই ভারত ও কানাডার সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। ভারত ট্রুডোর সন্দেহকে অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

India modi Canada Justin Trudeau
Advertisment