করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হওয়ায় বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের আবেদন করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার সিবিএসই (CBSE)-কে কেজরিওয়ালের পরামর্শ, ‘অনলাইন পরীক্ষা আয়োজন করুন নয়তো ইন্টারনাল পরীক্ষার মুল্যয়নে পড়ুয়াদের উত্তীর্ণ করুন। কিন্তু অফলাইন বোর্ড পরীক্ষা বাতিল আবশ্যিক।‘
তাঁর যুক্তি, ‘একটা পরীক্ষার সঙ্গে অনেকগুলো মানুষ জড়িয়ে থাকে। করোনার এই আবহে বোর্ড পরীক্ষা হলে সেই পরীক্ষাকেন্দ্র গুলো কোভিড হটস্পট হয়ে উঠবে। বাচ্চাদের শরীর এবং স্বাস্থ্য এই মুহূর্তে সুস্থ রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বহু দেশ সংক্রমণ রুখতে অফলাইন পরীক্ষা বাতিল করেছে। দেশের অনেক অঙ্গরাজ্য সেই পথে হেঁটেছে। আপনারাও উদ্যোগী হন।‘
এদিকে, দেশে ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফের মধ্যেই রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক V-কে ছাড়পত্র দিল ভারতের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সোমবার মস্কো ল্যাবরেটরির তৈরি এই টিকাকে অনুমোদনের কথা নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার সভেরেইন ওয়েলথ ফান্ড। ভারতের টিকা বিশেষজ্ঞ কমিটি জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা প্রয়োগে সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রাশিয়ায় তৈরি স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিনকে আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিল সিডিএসসিও-র সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের পর এই নিয়ে তৃতীয় করোনা ভ্যাকসিন ভারতে চূড়ান্ত অনুমতি পেল।
হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি এই ভ্যাকসিন ভারতে ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। ভারতে স্পুটনিক V ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য রাশিয়ার ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)-এর সঙ্গে গত বছরের সেপ্টেম্বরে হাত মিলিয়েছিল ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি।
এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯১.৬ শতাংশ এবং ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ভেনেজুয়েলা ও বেলারুশে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। স্পুটনিকের ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে। কয়েক দিন আগে ভারত সফরে এসে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লেভরভ জানান, স্পুটনিক ভ্যাকসিনের ৭০ কোটি ডোজ উৎপাদনের জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে। এবার ছাড়পত্রও দিয়ে দিল ভারত।