ড্রাগে আপত্তি, কিন্তু গাঁজায় নয়?

"কেন্দ্র যদি গাঁজার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তবে নানা রাজ্যই তা চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করতে পারবে। তবে এই সংক্রান্ত আইন সংশোধনের অধিকার রয়েছে একমাত্র কেন্দ্রের কাছেই।"

"কেন্দ্র যদি গাঁজার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তবে নানা রাজ্যই তা চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করতে পারবে। তবে এই সংক্রান্ত আইন সংশোধনের অধিকার রয়েছে একমাত্র কেন্দ্রের কাছেই।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tripura cm biplab deb

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসে শুক্রবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বললেন, রাজ্যে বিজেপি সরকার আসার পর থেকে কমেছে লিঙ্গ ভিত্তিক হিংসার ঘটনা। এর পেছনে ড্রাগের প্রভাব থেকে মুক্তিকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার একই দিনে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ গুণগান করলেন গাঁজার। বললেন, "গাঁজার ঔষধি গুণ অনেক"।

Advertisment

"বাম আমলে ড্রাগের কু-প্রভাবে বেড়ে গিয়েছিল মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা। সেই প্রভাব থেকে রাজ্যকে বের করে আনা খুব সহজ ছিল না, তবে আমাদের রাজ্যের মহিলারাই এ ব্যাপারে আমাদের খুব সহযোগিতা করেছেন।" ক্ষমতায় আসার পাঁচ বছরের মধ্যে রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে আর একটিও হিংসার ঘটনা না ঘটার মতো পরিবেশ তৈরি করার আশ্বাস দিলেন বিপ্লব দেব। "রাজ্যে আমাদের সরকার আসার পর মহিলাদের বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধের হার সাত শতাংশ কমেছে। তবে সমাজ থেকে তা মুছে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট নই। বামেরা এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি এতদিন," বললেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন, মহাকাশে ইতিহাস, শুধু মহিলা নভশ্চরদের নিয়ে নাসার প্রথম স্পেস ওয়াক

একই দিনে ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে শোনা গেল গাঁজার মাহাত্ম্যের কথা। মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণকে শুক্রবার বলতে শোনা গেল, "কেন্দ্র যদি গাঁজার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তবে নানা রাজ্যই তা চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করতে পারবে। তবে এই সংক্রান্ত আইন সংশোধনের অধিকার রয়েছে একমাত্র কেন্দ্রের কাছেই।" ক্যানসারের চিকিৎসায় গাঁজার উপকারিতার কথাও বলতে শোনা গেল মন্ত্রীকে।

Advertisment

চলতি মাসের শুরুতেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ৭৫,০০০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছে রাজ্য সরকার।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাপস দে বলেছেন, "গাঁজার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে কেন্দ্রের উচিত নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া এবং খেয়াল রাখা, যাতে শুধুমাত্র ভাল কাজেই ব্যবহার করা হয় তা।" ত্রিপুরার বাম দলগুলি অবশ্য তীব্র সমালোচনা করেছে এমন প্রস্তাবের।