আধা সামরিক বাহিনীর ক্য়ান্টিনে আমদানিকৃত দ্রব্য়াদির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে তোলপাড় কাণ্ড। কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে হাজারটিরও বেশি আমদানিকৃত দ্রব্য়ের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে, যা নিয়েই শোরগোল পড়েছে আধা সামরিক বাহিনীর ক্য়ান্টিনে।
উল্লেখ্য়, করোনা পরিস্থিতিতে দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেশি করে দেশের সামগ্রী ব্য়বহারের পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। সেই মোতাবেক আজ থেকে দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর যত ক্য়ান্টিন রয়েছে, সর্বত্র দেশীয় সামগ্রী বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী যে হাজারটি দ্রব্য়ের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে, সেগুলির কোম্পানিগুলির মধ্য়ে রয়েছে ডাবর ইন্ডিয়া লিমিটেড, বজাজ ইলেক্ট্রনিক্স, ভিআইপি, উইপ্রো, ব্লুস্টার, হ্য়াভেলস, ইউরেকা ফোর্বস। ক্য়ান্টিনে বিক্ষোভ পরিস্থিতির জেরে শেষমেশ ওই দ্রব্য়াদির তালিকা প্রত্য়াহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে ক্য়ান্টিনে স্বদেশী দ্রব্য়ের বিক্রির নির্দেশিকা বহাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমানের মাঝের আসন ফাঁকা রাখতে নির্দেশ ডিজিসিএ-র
সিআরপিএফ-এর ডিজি এপি মাহেশ্বরীর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কয়েকটি নির্দিষ্ট দ্রব্য়াদি বাদ দেওয়ার জন্য় যে তালিকা গত ২৯ মে কেন্দ্রীয় পুলিশ কল্য়াণ ভান্ডার ইস্য়ু করেছিল, সেই তালিকা প্রত্য়াহার করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ফিলিপস, স্য়ামসং, প্য়ানাসোনিকের মতো কোম্পানির বেশ কিছু সামগ্রী ব্য়বহারের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল। পাশাপাশি কোলগেট মাউথওয়াশ, গোদরেজ ৫ স্টার এসি, হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের ওটস হরলিক্স, নেসলের ম্য়াগি, এরিয়াল লিক্য়ুইড ডিটারজেন্টের মতো সামগ্রী কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনা, সংক্রমণে ৭ নম্বরে ভারত
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, যে উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেটির সঙ্গে সহমত হলেও, যেসব সামগ্রীর তালিকা করা হয়েছে, তার সঙ্গে একমত নন, শীর্ষ আধিকারিকদের একাংশ।
২৯ মে'র ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ক্য়ান্টিনে শুধুমাত্র স্বদেশী দ্রব্য় বিক্রি করা হবে আগামী ১ জুন থেকে'। সূত্রের খবর, যেসব দ্রব্য় পুরোপুরি আমদানিকৃত, সেসব দ্রব্য়ের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই এই নির্দেশিকা। নির্দেশিকায় দ্রব্য়ের তিনভাগ করা হয়েছে। ১নং ভাগে রয়েছে ভারতে তৈরি দ্রব্য়, ২ নম্বরে রয়েছে, যেসব দ্রব্য়ের কাঁচামাল আমদানি করা হয়, কিন্তু তৈরি হয় ভারতে। ৩ নম্বরে রয়েছে, পুরোপুরি আমদানিকৃত দ্রব্য়। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্য়ান্টিনে ১ ও ২ নং তালিকায় থাকা দ্রব্য়াদি বিক্রি করা যাবে। ৩নং তালিকায় থাকা দ্রব্য়াদি বাদ দিতে হবে ১ জুন থেকে। ওইসব দ্রব্য়াদি ১ জুন থেকে বিক্রি করা যাবে না।
Read the full story in English