পুলওয়ামায় হামলার তদন্তে নেমে সেই ‘লাল’ গাড়ি সম্পর্কে নয়া তথ্য পেলেন তদন্তকারীরা। যে গাড়িটি সেদিন সিআরপিএফ কনভয়ে ধাক্কা মেরেছিল, সেই গাড়িটি ২০১০-১১ সালে তৈরি করা হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পরে গাড়িটি নতুন করে রং করা হয়। গাড়ির মালিকের খোঁজও চালাচ্ছে এনআইএ। ভিনরাজ্য থেকে গাড়িটি চুরি করা হয়েছিল, এ সন্দেহও দানা বেঁধেছে তদন্তকারীদের মনে। উল্লেখ্য, কাশ্মীরে গাড়ি চুরির এফআইআর খতিয়ে দেখেও এ ব্যাপারে কোনও সূত্র খুঁজে পাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, হামলার জন্য যে গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছিল সেটি মারুতির ইকো মডেলের গাড়ি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিস্ফোরণস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছিল এনআইএ। সেই নমুনা যাচাই করে তদন্তকারীদের অনুমান, গাড়িটি ২০১০-১১ সালের। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, গাড়িটি কবে বিক্রি করা হয়েছিল এবং আদতে কবে তৈরি করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: ওই ১৫ কিমি এলাকাতেই কেন বারবার হামলা? পুলওয়ামার ঘটনায় তদন্তে এনআইএ
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। যে গাড়িতে মজুত ছিল প্রচুর বিস্ফোরক। যার জেরেই সেদিন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ওই গাড়ির চালকের আসনে ছিল জৈশ-এ-মহম্মদ জঙ্গি আদিল আহমেদ দার। কাকাপোরা এলাকায় আদিলের বাড়ির সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষা করে নমুনা সংগ্রহ করবে এনআইএ।
শুক্রবারও বিস্ফোরণস্থলে যান এনআইএ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। গত দু’দিন শুধুমাত্র নমুনা সংগ্রহই করেননি এনআইএ আধিকারিকরা, পাশাপাশি আশপাশের এলাকাও সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন। এ প্রসঙ্গে এক আধিকারিক বলেন, "বিস্ফোরণের মাত্রা ব্যাপক ছিল। ফলে ধ্বংসাবশেষ ১৫০-২০০ মিটার দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। গাড়িটির আরও কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নমুনাগুলোও যাচাই করে দেখা হবে।" অন্যদিকে, বিস্ফোরণস্থল থেকে বোতলের টুকরো মিলেছিল। ওই বোতলে প্রায় ৩০ কেজি আরডিএক্স রাখা ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই খবর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত হয়েছিল।
জৈশ-এ-মহম্মদের কয়েকজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও এনআইএ। পুলওয়ামা হামলার আগে জৈশ যোগ সন্দেহে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদেরকেও জেরা করছেন তদন্তকারীরা।
Read the full story in English