প্রয়াত প্রবীণ কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত নারায়ণ দেবনাথ। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। আজ সকালে আচমকা তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির আরও বেশি অবনতি হয়। প্রবলভাবে ওঠানামা করতে থাকে তাঁর রক্তচাপ। চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া কার্যত বন্ধ করে দেন নারায়ণ দেবনাথ। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও প্রবল কষ্ট হচ্ছিল প্রবীণ কার্টুনিস্টের। শেষমেশ সকাল ১০.১৫ নাগাদ বেলভিউ হাসপাতালে জীবনাবসান নারায়ণ দেবনাথের।
চলে গেলেন 'নন্টে-ফন্টে', 'হাঁদা-ভোঁদা', 'বাঁটুল দি গ্রেট'-এর স্রস্টা নারায়ণ দেবনাথ। গত ২৫ দিন ধরে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বাংলা কমিকসের দুনিয়ায় এ এক নক্ষত্রপতন। বয়সজনিত একাধিক সমস্যা ছিল নারায়ণ দেবনাথের। চিকিৎসার জন্য বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। একটানা প্রায় চার সপ্তাহ ধরে নিরলস পরিশ্রম করে গিয়েছেন চিকিৎসকরা। সর্বক্ষণ তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখতেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- না ফেরার দেশে নারায়ণ দেবনাথ, বাংলা সাহিত্যে অপূরণীয় ক্ষতি, প্রতিক্রিয়া বিশিষ্টদের
তবে আজ সকাল থেকেই নারায়ণ দেবনাথের শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে পড়ে। চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন তিনি। শেষমেশ চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে সকাল ১০.১৫ নাগাদ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে জীবনাবসান হয় বাংলা কমিকসের জনক নারায়ণ দেবনাথের।
শিল্পীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে প্রখ্যাত সাহিত্যিক, চিত্রকর, কার্টুনিস্ট এবং শিশু জগতের জন্য কিছু অমর চরিত্রের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ আর নেই। তিনি বাঁটুল দ্য গ্রেট, হাদাঁ-ভোদাঁ, নন্টে-ফন্টে, এমন চিত্রগুলি তৈরি করেছিলেন যা কয়েক দশক ধরে আমাদের হৃদয়ে রয়েছে।আমরা তাঁকে ২০১৩ সালে বাংলার সর্বোচ্চ পুরস্কার বঙ্গ বিভূষণ প্রদান করতে পেরে গর্বিত। তাঁর মৃত্যু অবশ্যই সাহিত্য সৃজনশীলতা এবং কমিকসের জগতের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব, পাঠক এবং অগণিত ভক্ত ও অনুগামীদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।'