স্বস্তি নেই। ঘুম কেড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এই আবহে রাজধানী দিল্লিতেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে, ঊর্ধ্বমুখী পজিটিভিটি রেট। উদ্বেগ বাড়িয়ে রবিবার রাজধানীতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১০৭। গত ৬ মাসে এটাই দিল্লির সর্বাধিক সংক্রমণ। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে দিল্লির সরকার। রাজধানীর সব কোভিড সেন্টারগুলি খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা কেজরিওয়াল সরকারের।
দিল্লির নাভিশ্বাস তুলেছিল করোনা। সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতিতে মৃত্যু মিছিল দেখেছিল রাজধানী। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দিল্লিতে। রাস্তায়-হাসপাতালে কার্যত বিনা চিকিৎসায় পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে বহু করোনা রোগীর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এক সময় দিশেহারা দশা হয় দিল্লির সরকারের। তবে গত কয়েকমাস ধরে দিল্লির করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
রাজধানীতে শেষবার চলতি বছরের জুন মাসের ২৫ তারিখ সর্বোচ্চ ১১৫ করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছিল। জুনের পর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দিল্লিতে ৩০-৪০ জন করোনা আক্রান্ত হচ্ছিলেন। তবে গত সপ্তাহ থেকে পজিটিভিটি রেট বাড়তে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, রাজধানী দিল্লিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে থাকতে পারে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। কার্যত একটি ঢেউয়ের মতো দিল্লির সংক্রমণ একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।
ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসের এই নয়া প্রজাতি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশ লকডাউন ঘোষণা করেছে। করোনা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ব্রিটেনের। রবিবার ব্রিটেনে ফের ৮২ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ২০২০-তে মহামারী শুরুর পর এই নিয়ে চতুর্থবার ব্রিটেনের দৈনিক সংক্রমণ ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন- বাঁদরের ‘বদলা’য় ছারখার মহারাষ্ট্রের বিড! কুকুরছানা মেরে বন দফতরের জালে দুই
এদিকে, দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ২২ ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তবে ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দিল্লিতে বর্তমানে যত রোগী করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশেরই নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছে না।
“দিল্লিতে হঠাৎ করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি খুব গুরুতর না হলেও তা অবশ্যই উদ্বেগজনক। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। হঠাৎ করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে গেলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চাপ পড়তে পারে। তাই আগেভাগে সব ব্যবস্থা করে রাখছি।'' ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এমনই জানিয়েছেন এক প্রশাসনিক কর্তা।
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন