সোশ্যাল মিডিয়ায় বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাই তাঁদের অপরাধ। এই অভিযোগে খুন, হত্যার ষড়যন্ত্র, দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা, হুমকি-সহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল মহারাষ্ট্রে। এর মধ্যে অমরাবতী শহরের কোতোয়ালি থানায় খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। এই অমরাবতীতেই গত ২১ জুন পেশায় কেমিস্ট উমেশ কোলেকে ছুরি মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তিন বাইক আরোহী যুবকের বিরুদ্ধে। উমেশকে খুন করা হয়েছে কারণ, তিনি হোয়াটসঅ্যাপে নূপুর শর্মাকে সমর্থন করেছিলেন।
শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি পয়গম্বর হজরত মহম্মদের বিরুদ্ধে অবমাননাসূচক মন্তব্য করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে নূপুর শর্মা-কাণ্ডে সব মিলিয়ে ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, উমেশ কোলেকে হত্যার অভিযোগেও সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বছর ৩৫-এর ইরফান খান। যে 'রাহেবার হেল্পলাইন' নামে একটি নথিভুক্ত স্বেচ্ছসেবী সংস্থা চালায়। কোলের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি বা এনআইএ।
আরও পড়ুন- মোদী-শাহর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শিণ্ডে-ফড়ণবিশের, তারপরই আস্থা জানালেন বিচার ব্যবস্থায়
ঔরঙ্গাবাদ গ্রামীণ এলাকার আবার উলটো ঘটনা ধরা পড়েছে। এখানকার গঙ্গাপুর থানায় দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বছর ২৪-এর এক ওয়েটার সেখানে নূপুর শর্মার পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ওয়েটারের অভিযোগ, ১০ জুন তিনি বাড়িতে বসেছিলেন। সেই সময় জনা ১৫ যুবক এসে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। তারা হুমকি দেয়, নূপুর শর্মাকে নিয়ে লেখা পোস্ট মুছে ফেলতে হবে। হামলাকারীরা তাঁকে মারধর করে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই যুবক।
নির্যাতিত যুবকের অভিযোগ, রাতের বেলায় সেই একই লোকজন ফের তার বাড়িতে আসে। ফের তাকে মারধর করে। তার মাথায় আঘাত করা হয়। কাগজ কাটার কাচি দিয়ে তাঁর গলা কেটে ফেলার চেষ্টাও চলে। এরপর দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা এবং হুমকির অভিযোগে ঔরঙ্গাবাদ গ্রামীণের অজিন্তা থানার পুলিশ ১৪ জুন চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
নির্যাতিত যুবক এই সব ঘটনার পর একটি সেলুন গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ফের নূপুর শর্মার পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তাঁর অভিযোগ, এরপরই পরিচিত জনা ১৫ যুবক তাঁর দিকে ধেয়ে আসে। দোকানের মধ্যেই তাঁকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়়তে শুরু করে। এমনকী তাঁর এক বন্ধুও অবিলম্বে পোস্টটি সরিয়ে ফেলার জন্য তাঁকে হুমকি দেয়। আর, এই সব ঘটনা পুলিশকে জানাতে বারণ করে।
Read full story in English