সংস্থার আর্থিক সংকট চূড়ান্ত। দেনার দায়ে জর্জরিত বেসরকারি বিমানসংস্থা জেট এয়ারওয়েজ। এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত বন্ধ করা হল ১৩টি আন্তর্জাতিক রুটের বিমান পরিষেবা। সব মিলিয়ে ৫৪টি বিমানের পরিষেবা বাতিল করল সংস্থা। সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে মুম্বই ও দিল্লি থেকে সাতটি আন্তর্জাতিক রুটের বিমান সংখ্যাও।
শুক্রবার সন্ধেবেলা স্টক এক্সচেঞ্জকে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে জেট লাইটের দুটি বিমানসহ অতিরিক্ত ৭টি বিমানের পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। বকেয়া টাকা মেটাতে না পারায় এই সিদ্ধান্ত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা সম্পর্কেও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।
আর পড়ুন, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে আমন্ত্রণ করায় পাক জাতীয় দিবস বয়কট ভারতের
আর্থিক সংকটের আগে দৈনিক জেট এয়ারওয়েজের ৬০০টি বিমান চলত। বর্তমানে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১১৯টিতে। বর্তমানে দিল্লি থেকে আবু ধাবি(সাপ্তাহিক ১২টি), দামাম( সাপ্তাহিক ১৪টি) ,বাহারিন (সাপ্তাহিক ৪-৭টি),কলকাতা-ঢাকা, মুম্বই- হংকং (সাপ্তাহিক ৭টি) এবং রিয়াদের সমস্ত বিমান বন্ধ করেছে জেট এয়ারওয়েজ। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এমন অবস্থা চলবে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
বেশ কিছু দিন ধরেই অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারছে না জেট এয়ারওয়েজ। বেতন না পেয়ে ইস্তফা দিয়েছেন বহু কর্মী। সঠিক সময়ে বেতন না পেলে কাজ ছেড়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আরও অনেকেই। তার ওপর যে সংস্থার থেকে বিমান ভাড়া নেওয়া হয়, তাদের কাছে বকেয়ার পরিমাণ আকশ ছুঁয়েছে ।
Read the full story in English