আবারও খবরের শিরোনামে সিবিআই! সিবিআইয়ের দুই শীর্ষকর্তার নজিরবিহীন লড়াইয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। সেই রেশের মধ্যেই এবার এক নয়া কাণ্ড কারখানা সামনে এল। সিবিআইয়ের সহকারী আইনি উপদেষ্টা বীণা রাইজাদার বিরুদ্ধে এবার জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করল খোদ সিবিআই। বার্ষিক কাজের মূল্যায়ন রিপোর্ট জাল করার অভিযোগ উঠেছে বীণার বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ভুয়ো নথি পেশ করার অভিযোগ তুলেছে সিবিআই।
২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে কাজের মূল্যায়ন ভাল ছিল না বীণার। সে কারণেই তাঁর বার্ষিক কাজের মূল্যায়ন রিপোর্ট বীণা জাল করেন বলে মনে করা হচ্ছে। রিপোর্টে তাঁর পারফরম্যান্স ‘দারুণ’ বলে বীণা লেখেন, এমনই অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। এমনকি, রিপোর্টে তাঁর বিভাগীয় প্রধানের সই নকল করেছেন বলেও অভিযোগ বীণার বিরুদ্ধে। ব্যপম কেলেঙ্কারির তদন্তে সিবিআইয়ের সহকারী আইনি উপদেষ্টা ছিলেন বীণা।
আরও পড়ুন, সিবিআই কাজিয়া: সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল ভিজিলেন্স কমিশনের রিপোর্ট, শুনানি শুক্রবার
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বীণার বার্ষিক কাজের মূল্যায়ন রিপোর্ট স্ক্রুটিনি করার সময়ই গোটা বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে। এমনকি, ৯০ দিন অফিসে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও, সে দিনগুলোর কাজের মূল্যায়ন করা হয়েছে রিপোর্টে।
এ ঘটনা সমানে আসার পরই প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথমে অনুসন্ধান চালানো হয়। তাতেই নজরে আসে যে, বীণা তাঁর এই নথি জালিয়াতি করেছেন। গত ১২ নভেম্বর বীণার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১৪ সালের মে মাসে পটনায় সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখায় সিনিয়র পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিযুক্ত হন। গত বছর জানুয়ারিতে তিনি দিল্লিতে দুর্নীতি দমন শাখায় (৬) যোগ দেন। ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কাজের মূল্যায়ন রিপোর্ট নিজেই দিল্লির অফিসে পেশ করেন বীণা। তিনি যে বিভাগীয় প্রধানের সই জাল করেছেন, সেকথাও এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে।
Read the full story in English