আরিয়ান খান মাদক মামলায় এবার সরাসরি ২৫ কোটি টাকা ঘুষ যাওয়ার অভিযোগে সিবিআই মুম্বাই জোনের নারকোটিক্স প্রধান সমীর ওয়াংখেড় সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে। জমা দেওয়া সেই চার্জিশিটে সিবিআই জানিয়েছে, বিদেশ যাত্রা সহ একাধিক দামি ঘড়ির ব্যাপারে তথ্য লুকিয়েছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে।
২০০৮-ব্যাচের আইআরএস অফিসার, সমীর ওয়াংখেড়ে, তখন এনসিবি মুম্বাই জোনের প্রধান ছিলেন, ২০২১ সালের ২রা অক্টোবর রাতে মুম্বইয়ের বিলাস বহুল ক্রুজে মাদক বিরোধী অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন। অভিযানে কোকেন, গাঁজা, সহ একাধিক মাদকদ্রব্যের সঙ্গে নগদ লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। অভিযানে আরিয়ান সহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানের ২৬ দিন পর আরিয়ানকে বোম্বে হাইকোর্ট জামিনে মুক্তি দেয়। অবশেষে, এনসিবি তদন্তে প্রমাণের অভাব থাকায় চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়। শুক্রবার সিবিআইয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “আমরা এনসিবি (মুম্বাই জোন ইউনিট) এর তৎকালীন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছি, পাশাপাশি আরিয়ান খান মাদক মামলায় শুক্রবার ৫ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়েছে"।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আরিয়ানের পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়া হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন এনসিবি (মুম্বই জোন ইউনিট) এর তৎকালীন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়। সিবিআই জানিয়েছে, ওয়াংখেড়ে এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারা 7, 7A, এবং 12 এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির 120B (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং 388 (অপরাধের অভিযোগের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি বিশ্ববিজয় সিং তৎকালীন এনসিবি সুপারিনটেডেন্ট, আশিষ রঞ্জন তৎকালীন ইন্টেলিজেন্স অফিসার, কে পি গোসাভি, সানভেলি ডিসুজা সহ আরও অন্যান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় মামলা। ২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে অভিযোগ থেকে মুক্ত করে দেওয়ার অভিযোগের মত চাঞ্চল্য তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই চার্জশিটে। সেই সঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।