দাভোলকর হত্যাকাণ্ডে ধৃত আইনজীবী সঞ্জীব পুনালেকর এবং তাঁর সহযোগী বিক্রম ভাবেকে ১ জুন পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল পুণের দায়রা আদালত। এই দুজনকে শনিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাদের আদালতে পেশ করা হয়।
সঞ্জীব এবং বিক্রমকে নিয়ে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হল। ৬৭ বছর বয়সী দাভোলকরকে ২০১৩ সালের ২০ অগাস্ট গুলি করে খুন করে দুজন আততায়ী।
আইনজীবীদের একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সঞ্জীব পুনালেকর সনাতন সংস্থা ও অন্য়ান্য হিন্দুত্ববাদী অ্যাক্টিভিস্টদের বিভিন্ন মামলায় আইনি সহায়তা দিত। দাভোলকর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের পক্ষাবলম্বন ছাড়াও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে তাকে দেখা যেত এবং নানা সংবাদমাধ্যমে অভিযুক্তদের তরফে মতামতও দিয়েছেন।
সনাতন সংস্থার সদস্য ভাবে এবং ঠানেতে ২০০৮ সালে কিছু থিয়েটার ও অডিটোরিয়ামের বিস্ফোরণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। ২০১৩ সালে বম্বে হাইকোর্ট তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয়। সূত্র জানিয়েছে পুনেলকরকে আইনি কাজকর্মে সাহায্য করতেন ভাবে।
সিবিআইয়ের বিশেষ আইনজীবী প্রকাশ সূর্যবংশী আদালতে সওয়াল করেছিলেন যে পুনালেকরের পুলিশ হেফাজত প্রয়োজন কারণ, অভিযুক্ত শুটার কালাসকরকে হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র নষ্ট করে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিল সে, তেমনটাই মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে গোটা ষড়যন্ত্রে তার ভূমিকাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ভাবের হেফাজতের পক্ষে আইনজীবীর সওয়াল ছিল, দাভোলকরের হত্য়াস্থল রেইকি করার জন্য শুটারদের সাহায্য় করেছিল সে এমনটাই অনুমান। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে যে বাইক ব্য়বহার করা হয়েছিল, তা নষ্ট করে ফেলার জন্য সে কীভাবে শুটারদের সাহায্য করেছিল, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
২০১৬ সালের জুন মাসে এই হত্যা মামলায় সিবিআই প্রথম গ্রেফতার করে সনাতন সংস্থার সদস্য ইএনটি সার্জন ডক্টর বীরেন্দ্র তাওড়েকে। দাভোলকর হত্যার মূল ষড়যন্ত্রী এই তাওড়ে, এমনটাই অভিযোগ। তাওড়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। ওই চার্জশিটে সিবিআই বলেছিল দাভোলকরের উপর গুলি চালিয়েছিল সারঙ্গ আকোলকর এবং বিনয় পাওয়ার নামে সনাতন সংস্থার দুই কর্মী।
কিন্তু ২০১৮ সালে সিবিআই দাবি করে পাওয়ার ও আকোলকর নয়, ধৃত অভিযুক্ত শচীন আন্দুরে এবং শরদ কালাসকর দাভোলকরের উপর গুলি চালিয়েছিল।